Mamta Kulkarni

১০ কোটি টাকায় পদ কিনেছেন মমতা? মহামণ্ডলেশ্বর প্রসঙ্গে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ

মমতার বিরুদ্ধে মোটা টাকার বিনিময়ে মহামণ্ডলেশ্বর পদ কিনে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। অভিনেত্রী নাকি ১০ কোটি টাকা দিয়ে এই পদ পেয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:১৩
It has been alleged that Mamta Kulkarni paid 10 cr to buy the title of Mahamandaleshwar

মমতা কুলকার্নির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত।

অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে মহাকুম্ভে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন মমতা কুলকার্নি। কিন্নর আখড়া থেকে পেয়েছিলেন মহামণ্ডলেশ্বরের সম্মান। কিন্তু এক সপ্তাহ পেরোতেই সেই পদ থেকে বহিষ্কৃত হন অভিনেত্রী। জানা গিয়েছে, মমতার মহামণ্ডলেশ্বর পদ নিয়ে কিন্নর আখড়ার অন্দরেই তৈরি হয়েছিল সমস্যা। প্রশ্ন ওঠে, অভিনেত্রী আদৌ মহামণ্ডলেশ্বর আখ্যা পাওয়ার যোগ্য কি না! এক সময়ে রুপোলি জগতে সাহসী দৃশ্যে অভিনয় এবং অপরাধ জগতের সঙ্গে নাম জড়ানোয় মমতার মহামণ্ডলেশ্বর পদ নিয়ে আপত্তি জানান অনেকেই। তার পরে ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় বহিষ্কৃত হন তিনি।

Advertisement

মমতার মহামণ্ডলেশ্বর পদ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বাবা রামদেবও। তিনি বলেছিলেন, “এক দিনে কেউ সন্ন্যাস গ্রহণ করতে পারে না। আজকাল দেখছি, যে কেউ এসে মহামণ্ডলেশ্বর আখ্যা পেয়ে যাচ্ছেন।” মমতার বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের অর্থ দিয়ে মহামণ্ডলেশ্বর পদ কিনে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। অভিনেত্রী নাকি ১০ কোটি টাকা দিয়ে এই পদ পেয়েছেন। এক সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে এ সব অভিযোগের উত্তর দিয়েছেন মমতা কুলকার্নি। অভিনেত্রী জানান, ১০ কোটি টাকা অনেক দূরের কথা। তাঁর কাছে ১ কোটি টাকাও নেই। গুরুদক্ষিণা স্বরূপ তিনি ২ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু সেই টাকাও নাকি কারও থেকে ধার করেছেন তিনি। কারণ তাঁর সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে রয়েছে।

বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ মমতার মহামণ্ডলেশ্বর আখ্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি মাত্র ২৫ বছর বয়সে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন বলে দাবি করেন বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ। তাঁর দাবি, “শুধুমাত্র প্রভাব খাটিয়ে কী ভাবে কেউ হঠাৎ মহামণ্ডলেশ্বর হয়ে উঠতে পারেন? যাঁদের অন্তর সত্যিই একজন সন্ন্যাসীর মতো, তাঁদেরই এই আখ্যা দেওয়া উচিত।”

এই প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, “আমি ২৫ বছর ধরে তপস্যা করেছি। বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশকে অনুরোধ করব, ওঁর গুরুর থেকে আমার ব্যাপারে জানার জন্য।” অভিনেত্রী জানিয়েছেন, গত ২৩ বছরে তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি কোনও ছবিও দেখেননি। শুধুই সন্ন্যাস গ্রহণ করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্নর আখড়ার আচার্য লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীর কথায় তিনি মহামণ্ডলেশ্বর পদ নিতে রাজি হন।

Advertisement
আরও পড়ুন