ঋতুস্রাব নিয়ে কথা বললেন কঙ্গনা। ছবি: সংগৃহীত।
নির্দিষ্ট সময়ে ঋতুস্রাব শুরু হয়নি বলে মায়ের বকুনি শুনতে হয়েছিল কঙ্গনা রনৌতকে। এমনকি, তাঁকে নাকি বড় শাস্তিও দিয়েছিলেন তাঁর মা। কী ভাবে পরিবারের মধ্যে পুরুষতন্ত্র বাসা বেঁধেছিল, তা নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কথা বললেন কঙ্গনা।
পুরুষতন্ত্রের জন্য পরিবারে ভাইবোনদের সম্পর্কের মধ্যেও নানা প্রভাব পড়েছিল। সেগুলি মনে করলে এখন নাকি অস্বস্তিতে পড়ে যান কঙ্গনার বাবা-মা। অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “এখন আমার বাবা-মা বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান এই সব শুনলে। কিন্তু একটা সময়ে পরিবারের মেয়েদের ছোট করে দেখা হত, সেই ভাবে কথা বলা হত। ব্যঙ্গ করা হত।” পরিবারে কোনও মেয়ের বিয়ে হলে, বাকি মেয়েদের ঘরের ভিতর থাকতে বলা হত। এর ফলে ভাইবোনদের মধ্যে একটা দূরত্ব থাকত সবসময়।
ঋতুস্রাব নিয়েও ভ্রান্ত ধারণা ছিল তাঁর পরিবারে। ঠিক সময়ে ঋতুস্রাব না হওয়ার কারণে কঙ্গনার সাধের পুতুলের বাড়ি ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন তাঁর মা। অভিনেত্রী বলেছেন, “আমার সব বন্ধুর ঋতুস্রাব হয়েছিল। আমার তখনও হয়নি। আমার মা খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল।”
সেই সময়ে পুতুল খেলতে খুব ভালবাসতেন কঙ্গনা। সারাদিনই পুতুল নিয়ে পড়ে থাকতেন তিনি। এই দেখে একদিন কঙ্গনার মা খুব রেগে গিয়েছিলেন। অভিনেত্রী বলেছেন, “পুতুল নিয়ে পড়ে থাকতাম বলেই ঋতুস্রাব শুরু হতে দেরি হচ্ছিল মনে করতেন আমার মা। একদিন তাই সেই পুতুলের বাড়ি ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।”
উল্লেখ্য, কঙ্গনার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ইমার্জেন্সি’। এই ছবির পরিচালকও তিনি নিজেই। ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতেও এসেছেন। এখন তিনি বিজেপি সাংসদ।