Karisma Kapoor

কলেজের মাইনে বাকি, করিশ্মার ছেলেমেয়েরা বাবার দলিল চেয়েছে, সৎমা প্রিয়াকে নিয়ে রয়েছে কোন সন্দেহ?

অভিযোগ, মাসিক খরচ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন সঞ্জয়ের বর্তমান স্ত্রী প্রিয়া। এ পর আদালত প্রিয়াকে সমন পাঠিয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব চাওয়া হয়েছে। এ বার সৎমায়ের বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ এনেছে করিশ্মার ছেলেমেয়েরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ১২:২৪
(বাঁ দিকে) করিশ্মা কপূর, (ডান দিকে) প্রিয়া সচদেব কপূর।

(বাঁ দিকে) করিশ্মা কপূর, (ডান দিকে) প্রিয়া সচদেব কপূর। ছবি: সংগৃহীত।

দিনকয়েক আগেই করিশ্মা কপূরের ছেলেমেয়েরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। সামাইরা ও কিয়ানের অভিযোগ, সঞ্জয় কপূরের সম্পত্তির দলিলে সই জাল করেছেন তাঁর বর্তমান স্ত্রী প্রিয়া কপূর। এমনকি সন্তানদের পড়াশোনার যে খরচ চালানোর কথা সঞ্জয়ের, সেই টাকাও নাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন প্রিয়া। আদালত প্রিয়াকে সমন পাঠিয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

করিশ্মার তরফে আইনজীবী মহেশ জেঠমলানী জানান, অভিনেত্রীর দুই সন্তান আমেরিকায় পড়াশোনা করছে। আইনজীবীর অভিযোগ, করিশ্মার ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ দেওয়ার কথা তাঁর স্বামীর। কিন্তু, সঞ্জয় মারা যাওয়ার পর থেকে নাকি সে সব বন্ধ করে দিয়েছেন প্রিয়া। যদিও প্রিয়ার আইনজীবী রাজীব নায়ার এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। সঞ্জয়ের মৃত্যুর পরেও ছেলেমেয়েদের প্রতি সমস্ত দায়িত্ব পালন করছেন প্রিয়া, দাবি আইনজীবীর।

করিশ্মার ছেলেমেয়েরা আদালতে অভিযোগ করে, সৎ মা তাঁদের বাবার দলিলের সই জাল করেছেন। সেই কারণে কিয়ান বাবার দলিলের আসল কপি চেয়েছে প্রিয়ার কাছে। সঞ্জয়ের সই মিলিয়ে দেখা হবে বলেই এই দাবি। আদতে দলিলে যা লেখা আছে তা-ই সঞ্জয় করে গিয়েছেন নাকি সবটাই জাল? প্রশ্ন সামাইরা-কিয়ানের।

করিশ্মার ছেলে যে পিটিশন জমা দিয়েছে, তা আদালতের কাছে পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছে তারা। তাদের দাবি, সঞ্জয়ের দলিলে নাকি নামের বানান ভুল রয়েছে ছেলেমেয়েদের। সেই কারণে ‘সঠিক’ দলিল চেয়ে পাঠিয়েছে করিশ্মার সন্তানেরা। যদিও প্রিয়ার আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, বানান ভুলের কারণে একটি দলিলকে ‘জাল’ বলা যায় না এবং সঞ্জয়ের সইতেও কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।

সঞ্জয়ের আকস্মিক প্রয়াণের পর থেকে আইনি লড়াই চলছে সঞ্জয়ের বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে করিশ্মার সন্তানদের। এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৬ ডিসেম্বর। বছর শেষে আদৌ কি নিষ্পত্তি হবে এই মামলার? না কি জটিল হবে আইনি লড়াই?

Advertisement
আরও পড়ুন