‘ধইবর্ধনে’ নিয়ে হুঁশিয়ারি ঋষভ শেট্টীর। ছবি: সংগৃহীত।
একদিকে বক্সঅফিসে ঝড় তুলেছে ‘কান্তারা ১’। অন্য দিকে, ঈশ্বরের প্রাচীন পূজাপদ্ধতি ‘ধইবর্ধনে’ (ভুটা কোলা) নৃত্যকলা জোরালো প্রভাব ফেলেছে দর্শকমনে। চরিত্রটি ঋষভ শেট্টীর ছবিতে ঈশ্বরের প্রতিনিধি। ইতিহাস বলছে, কর্ণাটক এবং কেরলে তুলু ভাষাভাষীর মানুষেরা ঈশ্বরকে তুষ্ট করতে পুজোর সময় এই নৃত্যশৈলী অনুসরণ করেন।
খবর, ছবিতে সেই বিশেষ নৃত্যশৈলী ‘ধইবর্ধনে’ দেখে প্রভাবিত দর্শক ছবি দেখতে দেখতেই তা অনুকরণ করার চেষ্টা করছেন! বহু জন ইতিমধ্যে তার ছোট্ট ঝলকও বানিয়ে ফেলেছেন। যা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
পরিচালকের তাই অনুরোধ, “ছবিতে ‘ধইবর্ধন’কে আমরা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে, তার পবিত্রতা রক্ষা করে দেখানোর চেষ্টা করেছি। এই ধরনের নৃত্যশৈলী নিয়ে ছেলেখেলা না করাই বাঞ্ছনীয়। আপনারা এই নৃত্যশৈলীর অনুকরণে দয়া করে রিল বানাবেন না। যা থেকে ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে।”
কর্ণাটকের উপকূলীয় অঞ্চল, তামিলনাড়ুতে এখনও বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির প্রতীক ‘ধইবর্ধনে’। এখনও দক্ষিণের বিস্তীর্ণ অ়ঞ্চলে ‘ধইবর্ধনে’ নৃত্যশৈলী সেই অঞ্চলের ঐতিহ্য এবং পবিত্রতার পরিচায়ক। তাই পরিচালক ঋষভের ভয়, দর্শকের এই আচরণ যেন নির্দিষ্ট ভাষাভাষীর মানুষের ভাবাবেগে আঘাত না করে। যা থেকে পরে রোষ জন্ম নিতে পারে।