Kantara

‘এই দেবদেবী খুবই পবিত্র’, ‘কান্তারা’র দৈব্যকে অপমানে অভিযুক্ত রণবীর! অবশেষে মুখ খুললেন ঋষভ শেট্টী

তুলু সম্প্রদায়ের আরাধ্যা দেবীকে নিয়ে মশকরার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। বিষয়টি অস্বস্তিতে পড়েন ‘কান্তারা’র ঋষভও। সম্প্রতি এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৪০
ঋষভ মুখ খুললেন রণবীরের বিতর্কে।

ঋষভ মুখ খুললেন রণবীরের বিতর্কে। ছবি: সংগৃহীত।

মঞ্চে উঠে ঋষভ শেট্টীর ছবি ‘কান্তারা’র প্রশংসা করতে গিয়ে বিতর্কে পড়েছিলেন রণবীর সিংহ। মঞ্চে উঠে ছবিতে দেখানো চামুণ্ডাদেবীর অভিনয় করে দেখিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। তুলু সম্প্রদায়ের আরাধ্যা দেবীকে নিয়ে মশকরা করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে যান ‘কান্তারা’র ঋষভও। সম্প্রতি এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন তিনি।

Advertisement

একটি অনুষ্ঠানে আবেগের বশে মঞ্চে চামুণ্ডাদেবীর অভিনয় করে দেখিয়েছিলেন রণবীর। দর্শকাসনে বসে ঋষভ বার বার হাত নেড়ে, জিভ কেটে নিষেধ করেছিলেন রণবীরকে। তবে শোনেননি অভিনেতা। রণবীরের অভিব্যক্তি দেখে অনেকেই চটে গিয়ে দাবি করেছিলেন, অভিনেতা দেবীর অপমান করেছেন। রণবীরের নাম না করেই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ঋষভ বলেন, “আমি খুব অস্বস্তিতে পড়েছিলাম। হতে পারে, এটা ছবি বা অভিনয়। কিন্তু যে দৈব্যকে দেখানো হয়েছে, তা খুবই পবিত্র ও সংবেদনশীল বিষয়। তাই আমি যেখানেই যাই, এই দৈব্যের নকল করতে নিষেধ করি। এই দেবদেবী আমাদের সঙ্গে খুব গভীর ভাবে জড়িয়ে।”

‘কান্তারা’ ছবির দু’টি ভাগ তৈরির নেপথ্যেই গবেষণা রয়েছে। সংস্কৃতি ও দেবদেবীদের শুধু গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরাই উদ্দেশ্য ছিল না। বরং মানুষকে এই সংস্কৃতির সঙ্গে অবগত করানো ছিল বিশেষ লক্ষ্য। জানিয়েছেন ঋষভ।

উল্লেখ্য, রণবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তুলু সম্প্রদায়ের আরাধ্য গুলিগাদেবীর বোন, যিনি চণ্ডীরূপে পূজিতা হন— তাঁকে নিয়ে হাসঠাট্টা করেছেন, যা ওই সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন ‘ধুরন্ধর’ খ্যাত অভিনেতা। তিনি সমাজমাধ্যমের একটি পোস্টে লেখেন, “আমার উদ্দেশ্য ছিল ঋষভের কাজের প্রশংসা করা। একজন অভিনেতা হিসাবে বুঝতে পারি, এমন দৃশ্যে অভিনয় করতে নিজেকে ওই চরিত্রের মধ্যে কতটা নিমজ্জিত করতে হয়। সেই কারণে ওঁর প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি বরাবরই আমাদের দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সম্মান করে এসেছি। যদি কারও ভাবাবেগে আঘাত করে থাকি, তা হলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।”

Advertisement
আরও পড়ুন