Ahmedabad Plane Crash

‘নিহতেরা কি শেষ বারের জন্য প্রিয়জনদের ভালবাসতে পেরেছিলেন’, নিজের ভয়াবহ স্মৃতি জানালেন শেখর

বিমানে যাতায়াত কতটা ঝুঁকিবহুল হতে পারে সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন চিত্রপরিচালক শেখর কপূর। কী ভাবে প্রতি মুহূর্তে আতঙ্ক গ্রাস করতে পারে, তাও উঠে এল তাঁর কথায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫ ১৭:১৮
নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন শেখর কপূর।

নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন শেখর কপূর। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বিমান দুর্ঘটনার পরে আতঙ্কের আবহ গোটা দেশ জুড়ে। কয়েক মিনিটের মধ্যে এক সঙ্গে এত মানুষের মৃত্যুতে স্তম্ভিত সকলে। বিমানে যাতায়াত কতটা ঝুঁকিবহুল হতে পারে সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন চিত্রপরিচালক শেখর কপূর। কী ভাবে প্রতি মুহূর্তে আতঙ্ক গ্রাস করতে পারে, তাও উঠে এল তাঁর কথায়।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে কন্যার সঙ্গে একটি ছবি ভাগ করে নিয়ে শেখর লেখেন, “আমরা সকলেই বিমানে যাত্রা করেছি। যাত্রা শুরুর সময়ে এবং যাত্রাশেষে আমরা প্রত্যেকেই আতঙ্কিত হয়েছি। আবার আকাশপথে বিমান কাঁপতে শুরু করলে আমাদের প্রত্যেকেরই অস্বস্তি হয়েছে।”

একটা বিমান দুর্ঘটনায় কত জনের মৃত্যু হতে পারে, চিন্তা তা নিয়ে হয় না। বরং নিজের মৃত্যু হলে প্রিয়জনদের কথা ভেবেই চোখের সামনে নেমে আসে অন্ধকার, মনে করেন ‘ব্যান্ডিট কুইন’-খ্যাত পরিচালক। তিনি বলেন, “আমরা প্রিয়জনদের নিয়ে চিন্তা করি। আমাদের কিছু হয়ে গেলে, তাদের কী হবে, সেই চিন্তাও মাথায় আসে। আমি তো নিয়মিত বিমানে যাত্রা করি। জীবনে নানা রকম রোমাঞ্চকর মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছি। প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে নানা রকমে দুঃসাহসিক কাজ করেছি, যাতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত।”

কিন্তু কন্যার জন্মের পরে বদলে যায় অনেক কিছু। তাঁর কথায়, “বেশ দেরি করেই আমার কন্যার জন্ম হয়। তবে ওর জন্মের পরে অনেক কিছু বদলে যায়। তার পর থেকে মৃত্যুর অর্থও আমার কাছে বদলে যায়।” তাই বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য বিশেষ প্রার্থনাও করেছেন শেখর। তিনি লিখেছেন, “যাঁদের এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল, আশা করছি তাঁরা এক বার অন্তত শেষ বারের মতো প্রিয়জনদের ভালবাসা জানাতে পেরেছিলেন। এ টুকুই আমার আশা ও প্রার্থনা। নিঃশর্ত ভালবাসা ছাড়া এই পৃথিবীতে আর কিছু নেই।”

Advertisement
আরও পড়ুন