সঞ্জয় কপূরের মৃত্যু নিয়ে নয়া তথ্য। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বছর জুন মাসে মৃত্যু হয় করিশ্মা কপূরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কপূরের। গল্ফ খেলার মাঠে গলায় আচমকা মৌমাছি ঢুকে পড়ায় হৃদরোগে মৃত্যু হয় সঞ্জয়ের। তবে তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই অশান্তি। শিল্পপতির ৩০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী কে হবেন, তা নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি। স্বামীর সম্পত্তির পুরোটাই নিজের অধিকার বলে দাবি করেছেন তৃতীয় স্ত্রী প্রিয়া কপূর। পালটা বাবার সম্পত্তিতে নিজেদের অধিকার রয়েছে বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ করিশ্মার দুই সন্তান সামাইরা ও কিয়ান কপূর। এ বার ভাইয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে দাবি করেছেন সঞ্জয়ের বোন মন্দিরা।
প্রিয়ার জন্যই নাকি করিশ্মার সুখের সংসারে আগুন লাগে, বিস্ফোরক অভিযোগ সঞ্জয়ের বোন মন্দিরা কপূরের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মন্দিরা জানান, কী ভাবে তাঁর দাদার সংসারে অশান্তি শুরু হয়। প্রিয়ার সঙ্গে সঞ্জয়ের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে শুরু করলে সেই খবর যায় মন্দিরার কাছে। কোনও দিনই এই সম্পর্কের পক্ষে ছিলেন না তিনি।
মন্দিরার কথায়, “বিমানে ওঁদের আলাপের সময় থেকে জানি। একটুও খুশি হইনি। লোলো (করিশ্মা) এবং আমার দাদার সুখের দাম্পত্য ছিল। কিয়ানের জন্ম হল। সন্তানদের প্রচণ্ড ভালবাসত দাদা।” তিনি জানান, দাদা কোনও দিনই তাঁর দুই সন্তান কিয়ান ও সামাইরার বদলে সব সম্পত্তি তৃতীয় স্ত্রী প্রিয়ার নামে করতে পারেন না।
মন্দির বলেন, ‘‘প্রিয়া এমনই মহিলা যে আমাদের বিরুদ্ধে লড়তে আমাদের টাকা ব্যবহার করছে। আর সোনা কমস্টার আমার বাবার তৈরি সংস্থা। একটা বাইরের লোক এসে সেটা আত্মসাৎ করবে, সেটা হতে দেব না। যেটা আমাদের ছিল, আমাদের কাছেই ফিরে আসবে। আমার দাদার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল কি না, তা নিয়ে এখনও আমার সন্দেহ রয়েছে। অত্যন্ত স্বাস্থ্যবান সুপুরুষ ছিল দাদা।’’
২০১৭ সালে সঞ্জয় ও প্রিয়া গাঁটছড়া বাঁধেন। যদিও সেখানে যাননি মন্দিরা ও তাঁর আর এক বোন। সেই সময়ে করিশ্মার পাশে না দাঁড়াতে পারার আক্ষেপও রয়েছে মন্দিরার মধ্যে। “তখন আমরা কথাও বলতাম না আর। ওঁর (করিশ্মা) বোধ হয় আমার উপর রাগ হয়েছিল, যদিও ওঁর দোষ নয়। আমার প্রিয় বন্ধু ছিল করিশ্মা। ওঁর পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল আমার।”