Sunjay Kapur Death

মৃত্যুর আগে বোনের সঙ্গে বাক্যালাপ বন্ধ করেছিলেন সঞ্জয়! কী জানালেন করিশ্মার প্রাক্তন ননদ?

সঞ্জয়ের বোন মন্দিরা কপূর সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। নিজেদের শৈশবের বেশ কিছু ছবিও ভাগ করে নেন তিনি। দীর্ঘ চার বছর ভাইবোনের মধ্যে নূন্যতম কথাবার্তা নাকি ছিল না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫ ১২:০৯
করিশ্মার প্রাক্তন স্বামী কেন বোন মন্দিরার সঙ্গে কথা বন্ধ করেছিলেন!

করিশ্মার প্রাক্তন স্বামী কেন বোন মন্দিরার সঙ্গে কথা বন্ধ করেছিলেন! ছবি: সংগৃহীত।

গলায় মৌমাছি আটকে মৃত্যু হয়েছে করিশ্মা কপূরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কপূরের। তার পর থেকেই তিনি সংবাদ শিরোনামে, উঠে আসছে একের পর এক ঘটনা। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ ছিল। এমনকি, একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগও তুলেছিলেন করিশ্মা। এ বার জানা গেল, সঞ্জয়ের সঙ্গে তাঁর বোনেরও সুসম্পর্ক ছিল না।

Advertisement

সম্প্রতি সঞ্জয়ের বোন মন্দিরা কপূর সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। নিজেদের ছোটবেলার বেশ কিছু ছবি ভাগ করে নেন তিনি। দীর্ঘ চার বছর ভাইবোনের মধ্যে নূন্যতম কথাবার্তাও নাকি ছিল না। মন্দিরা লেখেন, “গত চার বছর ধরে আমি ও আমার ভাই পরস্পর কথা বলিনি। ভাইবোনদের মধ্যে ছোট্ট একটা সমস্যা বড় আকার নিয়েছিল শুধুমাত্র আমাদের অহং বোধের কারণে। কিন্তু আমাদের সম্পর্ক এই সমস্যার জন্য কখনওই মিথ্যে হয়ে যেতে পারে না।”

শৈশবের স্মৃতিচারণ করেছেন সঞ্জয়ের বোন। তাঁর কথায় উঠে এসেছে, “আমরা দারুন সময় কাটিয়েছি ছোটবেলায়। অসাধারণ বাবা-মা পেয়েছিলাম। আমরা কত গোপন কথা ভাগ করে নিতাম, রাত পর্যন্ত জেগে থাকতাম, আবার রাত হলে চুপি চুপি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতাম। আমাদের তিন ভাইবোনের মধ্যে কত মজাই না হত!”

মন্দিরা ছাড়াও সঞ্জয়ের আরও এক বোন রয়েছেন। সব সময় দাদা হিসাবে দুই বোনকে আগলে রাখতেন শিল্পপতি। কিন্তু মৃত্যুর ঠিক আগে বোনের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই মন্দিরা লিখেছেন, “শেষে যা হল, তা সাংঘাতিক। দুঃখের বিষয়, আর ওর সঙ্গে কখনওই কথা হবে না। তবে আমি জানি, এত কিছুর পরেও সঞ্জয় জানত, আমি ওকে কতটা ভালবাসি।”

ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেলেও, তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন মন্দিরা। তাই শোকাতুর হয়ে তিনি লিখেছেন, “ওর কথা খুব মনে প়ড়ছে। ওকে আর এই জীবনে দেখতে পাব না, এটা মেনে নেওয়াই খুব কঠিন। ও এখন বাবার সঙ্গে রয়েছে। খুব শীঘ্রই আমাদেরও দেখা হবে।”

সব শেষে মন্দিরা অনুতাপ করে লিখেছেন, “শেষবারের মতো ভাইকে দেখতে যে কোনও মূল্য দিতে আমি রাজি। ওকে বলতে চাই, কতটা ভালবাসি।”

Advertisement
আরও পড়ুন