Bhaswar Chatterjee On Shani Puja

শনিবার নিরামিষ খেয়েও অনৈতিক কাজ? শনিদেব আরও রুষ্ট হবেন! তুষ্ট রাখার পরামর্শ দিলেন ভাস্বর

সাড়ে সাতি দশায় প্রচণ্ড ভুগেছিলেন ভাস্বর। সেই সময় থেকেই বেশ কিছু নিয়ম মানতে শুরু করেন। ভাল ফল মিলেছে হাতেনাতে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫ ১২:৫৩
ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।

ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, ১৩ জুলাই থেকে শনিদেবের বক্রীদশা শুরু। জ্যোতিষীদের মতে, এই দশা চলতে পারে নভেম্বর পর্যন্ত। অনেকেই এই দেবতাকে যথেষ্ট সমীহ করে চলেন। তাঁরা ভয় পান। কারণ, কথিত আছে শনিদেব রুষ্ট হলে দুর্ভাগ্যের অন্ত থাকে না।

Advertisement

সত্যিই কি তাই? বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, শনিদেব ন্যায়ের প্রতীক। যাঁরা সৎ পথে থাকেন, সত্য কথা বলেন, অকারণে কাউকে মানসিক আঘাত দেন না বা অপমান করেন না, তাঁদের তিনি শুভফল দেন। এই দেবতাকে তুষ্ট করতে তাই শনিবার সারা বছর অনেকে অনেক আচার পালন করেন। কেউ মন্দিরে পুজো দেন, নিরামিষ খান। কেউ সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান মন্দিরে। শনিদেবকে শ্রদ্ধা করেন লেখক-অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ও। এ কথা তিনি এর আগে আনন্দবাজার ডট কমকে জানিয়েছিলেন।

এই বিশেষ সময়ে তিনি কি বিশেষ কিছু করবেন? শনিদেবকে তুষ্ট রাখতে কী কী আচার মানেন ভাস্বর?

লেখক-অভিনেতার কথায়, “শনি বক্রী হলে বিশেষ কী নিয়ম মানতে হয়, জানি না। তবে আমার সাড়ে সাতি দশার সময় টানা সাত বছর কিছু সংযম পালন করেছিলাম। সেই নিয়মগুলো এখনও মেনে চলি। খারাপ সময়ে ভাল ফল পেয়েছি বলে।”

ভাস্বর শনিবার নিরামিষ খান। কালো পোশাক পরেন না। কালো গাড়িতেও চাপেন না!

অভিনেতা এ-ও জানিয়েছেন, শুধুই নিরামিষ খেলে চলবে না। আচরণেও সংযত থাকতে হবে। “একদিকে নিরামিষ খাব, অন্য দিকে মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করব— তাতে শনিদেব তুষ্ট হওয়ার বদলে রুষ্ট হন বেশি।” তাই ভাস্বর চেষ্টা করেন অযথা কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করতে। তর্কাতর্কির মধ্যে না জড়াতে। সাধ্যমতো দুঃস্থদের সাহায্য করারও চেষ্টা করেন তিনি। এতে ভাল ফল পেয়েছেন বলে দাবি অভিনেতার। যদিও মন্দিরে গিয়ে কখনও পুজো দেননি। অভিনেতা উপলব্ধি করেছেন, শনিদেব ন্যায়ের প্রতীক। তিনি প্রত্যেককে তার কর্ম অনুযায়ী ফলদান করেন। তাই তাঁকে তুষ্ট রাখতে ‘ভাল মানুষ’ হওয়া জরুরি।

Advertisement
আরও পড়ুন