Zubeen Garg Death

গিয়েছিলেন জলজ্যান্ত মানুষ, ফিরলেন কফিনবন্দি হয়ে! জ়ুবিনের বুকে ‘গামোছা’ রেখে কান্না গরিমার

কিছুতেই তাঁকে সামলাতে পারছিলেন না কেউ। কিছুতেই নিজেকে সামলাতে পারছিলেন না তিনি নিজেও।

Advertisement
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২৬
কান্নায় ভেঙে পড়লেন গরিমা শইকীয়া গার্গ।

কান্নায় ভেঙে পড়লেন গরিমা শইকীয়া গার্গ। ছবি: সংগৃহীত।

সিঙ্গাপুরে যখন গিয়‌েছিলেন জ়ুবিন গার্গ তখন তাঁর শরীরে কোনও সমস্যা ছিল না। দিব্যি সুস্থ তিনি। স্কুবা ডাইভিং তাঁর প্রাণ কেড়ে নেবে, ভাবতে পারেননি কেউ। ময়নাতদন্তের পর প্রয়াত গায়কের দেহ গুয়াহাটী বিমানবন্দরে পৌঁছোয় রবিবার সকালে। সেখানে কফিনবন্দি স্বামীকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারলেন না স্ত্রী গরিমা শইকীয়া গার্গ। প্রয়াত স্বামীর বুকের উপরে ‘গামোছা’ রাখতে গিয়ে অঝোর কান্না তাঁর।

Advertisement

জ়ুবিনের স্ত্রী গরিমা রাজ্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রয়াত স্বামীর দেহ আনতে এ দিন বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। উপস্থিত কারও চোখ তখন শুকনো নয়। ঘনঘন চোখ মুছতে দেখা গিয়েছে গরিমাকেও। তখনও তিনি নিজেকে ধরে রেখেছিলেন। বিমানবন্দরে কফিনবন্দি স্বামীর দেহ দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি তিনি। জ়ুবিনের বুকের উপরে ‘গামোছা’ রাখতে গিয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন গরিমা। সেই দৃশ্য দেখে নিজেদের সামলাতে পারেননি রানওয়েতে জড়ো হওয়া প্রত্যেকে। পরে কফিনটি ফুল দিয়ে সাজানো অ্যাম্বুলেন্সে করে যাত্রা শুরু করে।

গায়কের দেহ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর কাহিলিপারার বাসভবনে। সদ্যপ্রয়াত গায়ক-পুত্রের ৮৫ বছরের বাবা এবং গায়কের পরিবার থাকেন সেখানে। পরে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় অর্জুন ভোগেশ্বর বরুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্সে, যেখানে শনিবার রাত থেকে হাজার হাজার মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে!

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে শনিবার জানিয়েছিলেন, সকাল ন’টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত অনুরাগীরা তাঁদের প্রিয় শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। বার্তায় লেখা ছিল, “গভীর দুঃখের সঙ্গে অসম সরকার জানাচ্ছে, সকলের প্রিয় শিল্পী জ়ুবিন গার্গের দেহ রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, সকাল ন’টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত অর্জুন ভোগেশ্বর বরুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্সে (সরুসাজাই স্টেডিয়াম) রাখা থাকবে।

Advertisement
আরও পড়ুন