খেতে ভাল, গরম চাট কী ভাবে বানাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
টক, ঝাল, মিষ্টি চাট আর তা-ও যদি হয় গরমাগরম, দিব্যি জমে যাবে শীতের আড্ডা। ওজন ঝরানোর জন্য দিনভর খাওয়া-দাওয়া করছেন মেপে, তবে সান্ধ্য আড্ডায় যদি লোভে পড়ে অস্বাস্থ্যকর কিছু খাওয়া হয়ে যায়, আফসোসের সীমা থাকে না। বেশি ক্যালোরির তেল, মশলাদার ভাজাভুজি খেয়ে ফেলে অপরাধবোধেও ভোগেন অনেকে।
তবে স্বাদ-স্বাস্থ্যের খেয়াল একসঙ্গেই রাখা সম্ভব মুখরোচক চাট দিয়ে। শুধু বুদ্ধি করে কৌশল সামান্য হেরফের করতে হবে। টুকিটাকি বদলে দিতে হবে উপকরণ।
ক্রিস্পি ছোলা চাট
কাবলি ছোলা পুষ্টিগুণে ভরপুর। উচ্চ মাত্রার প্রোটিন মেলে এতে। কাবলি ছোলা নুন দিয়ে সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে নিন। অল্প সাদা তেল, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, পাতিলেবুর রস এতে মিশিয়ে এয়ার ফ্রায়ারে মুচমুচে করে ভেজে নিন। নামমাত্র তেলেই সেদ্ধ ছোলা মুচমুচে হয়ে যাবে। একটি পাত্রে জল ঝরানো টক দইয়ের সঙ্গে চাটমশলা মিশিয়ে নিন। মিহি করে কুচনো পেঁয়াজ, শসা, কাঁচালঙ্কা এতে যোগ করুন। ক্রিমের মতো দইয়ের মিশ্রণ দিয়ে উপর থেকে মুচমুচে কাবলি ছোলা ছড়িয়ে দিন। যোগ করুন সামান্য ভাজা মশলা, ধনেপাতা কুচি। উপর থেকে দিতে পারেন তেঁতুল-গুড়ের চাটনিও। ব্যস, তৈরি টক, ঝাল, মিষ্টি চাট।
টিকিয়া-ঘুগনি চাট
মটর নুন-হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ করার সময় ডুমো করে ২-৩ টি আলু এবং বড় একটি টম্যাটো দিয়ে দিন। কড়াই সেদ্ধ হলে আলু আলাদা করে বার করে নিন। নুন এবং ভাজা মশলা দিয়ে ভাল করে মেখে গোল টিকিয়ার আকার দিয়ে অল্প তেলে উল্টে-পাল্টে তাওয়ায় সেঁকে নিন।
এবার সেদ্ধ কড়াইয়ের মধ্যে সেদ্ধ টম্যাটো, ভাজা মশলা দিয়ে ভাল করে নাড়া চাড়া করে নিন। যোগ করুন গরম মশলা। এবার থালায় প্রথমে দিন টিকিয়া, তার উপর ঘুগনি। উপর থেকে পেঁয়াজ, গাজর, লঙ্কা, ধনেপাতা কুচি যোগ করুন। তেঁতুলের ক্বাথ মিশিয়ে দিন।পাঁপড় সেঁকে উপর থেকে ছড়িয়ে ভাজা মশলা যোগ করুন। গরম ঘুগনি চাট আড্ডা জমিয়ে দেবে।
মুগের চাট
সেদ্ধ মুগ বা ভেজানো অঙ্কুরিত মুগ দুই উপকরণ দিয়েই চাট হতে পারে। গরম গরম চাট খেতে হলে অবশ্য মুগ হালকা ভাপিয়ে নিন। তার পর বেশি করে পাতিলেবুর রস, একটু সৈন্ধব লবণ আর চাটমশলা ছড়িয়ে দিন। যোগ করুন শুকনো খোলায় নেড়ে নেওয়া চিনে বাদাম। উপর থেকে দিয়ে দিন পেঁয়াজ, লঙ্কা, টম্যাটো আর ধনেপাতা কুচি। চাইলে খুব সামান্য ভাজা মশলাও যোগ করতে পারেন। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় ছাড়াই নিশ্চিন্তে খান স্বাস্থ্যকর মুগ চাট।