Orange Village In Darjeeling

গাছ ভরা কমলালেবু, পাহাড়ি বাঁক আর হাড়কাঁপানো ঠান্ডা, শীতের গন্তব্য হোক থাপাগাঁও

শীত এলেই মন পালাই পালাই করে। ডিসেম্বর শেষ হওয়ার আগেই চলুন কমলালেবুর গ্রামে। জেনে নিন হদিস।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৪৩
কমলালেবুর বাগান রয়েছে গ্রামে। চলুন থাপাগাঁওয়ে।

কমলালেবুর বাগান রয়েছে গ্রামে। চলুন থাপাগাঁওয়ে। ছবি: সংগৃহীত।

শীত এসে পড়েছে। শীতে অনেকেই বেড়াতে যেতে ভালোবাসেন। কিন্তু যাবেন কোথায়? চলুন থাপাগাঁও। এ এমন এক গ্রামে, যেখানে গাছভর্তি কমলালেবু মিলবে। এখানে পাহাড়ের কোলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কমলালেবুর বাগান। নভেম্বরের পর থেকে বাগান ভরে যায় কমলালেবুতে। এমনিতে দার্জিলিঙের কমলালেবুর খ্যাতি যথেষ্ট। তবে সেই লেবু যদি গাছে ফলে থাকতে দেখা যায়, সেই আনন্দ আলাদা। সিটং-এর খ্যাতি কমলালেবুর জন্য। তবে সেখানে এখন ভিড় হয় অনেক। যদি নির্জনতার খোঁজ চান, তবে আদর্শ স্থান থাপাগাঁও। জায়গাটি দার্জিলিং জেলায়, বিজনবাড়ির অদূরে। এখানেই দেখা হয়ে যাবে ছোটা রঙ্গিতের সঙ্গে।

Advertisement
ঘুরে আসুন কমলালেবুর গ্রামে।

ঘুরে আসুন কমলালেবুর গ্রামে। ছবি:সংগৃহীত।

থাপাগাঁওয়ের নাম ধীরে ধীরে পর্যটকমহলে পরিচিতি পাচ্ছে কমলালেবুর বাগিচার জন্য। তবে গাছ ভরা লেবু দেখলেও পাড়ার উপায় নেই। সবটাই যে চাষের। তবে যদি পাড়তেই হয় তা হলে বাগান মালিকের অনুমতি প্রয়োজন। বিদেশের কায়দায় টিকিটের বিনিময়ে এখানে এখনও কমলালেবু পাড়ার অনুমতি মেলে না।

নির্জন গ্রামে শীতের দিনে ঠান্ডা থাকবেই। তবে মেঘ-কুয়াশার বাড়াবাড়ি না থাকলে, এখান থেকেই দৃশ্যমান হবে দার্জিলিং শহরের খানিকটা। এই স্থানটি আর পাঁচটা পাহাড়ি গ্রামের মতোই। একই রকম পাহাড়ি বাঁক, গ্রামের শিশুর সরল হাসি, বাড়ির আঙিনা সাজানো সুদৃশ্য ফুল মন কেড়ে নেবে।

খানিক হাঁটাহাটি করে পৌঁছে যেতে পারেন ছোটা রঙ্গিতের কাছে। ছোট-বড় বোল্ডারের উপর দিয়ে বয়ে চলা নদীরও নিজস্ব ছন্দ রয়েছে। আশপাশে মাঝেমধ্যে সেই শব্দে সুর জুড়ে দেয় পাখিরাও। পাহাড়ি পথে হেঁটে নিজের মতো ঘুরে দেখা যায় থাপাগাঁও।

দিনদুয়েক কিছুই না করে শুধু প্রকৃতি উপভোগ করতে চাইলে এই স্থান হবে আদর্শ। স্থানীয় হোম স্টে-র তরফে মিলবে গরম গরম ঘরোয়া খাবার। চাইলে ঘুরে নিতে পারবেন বিজনবাড়ি, মেগিটার, ঝেঁপি। চাইলে চলে আসতে পারেন দার্জিলিং। থাপাগাঁওয়ের আশপাশে চা-বাগিচাও রয়েছে, ঘোরা যায় সেখানেও।

কোথায় থাকবেন?

থাপাগাঁওয়ে হোমস্টে রয়েছে। বিলাসিতা না থাকলেও প্রয়োজনীয় সব পরিষেবাই মিলবে। পাহাড়ের লোকেরাই রেঁধে খাওয়াবেন।

কী ভাবে যাবেন?

দার্জিলিং থেকে থাপাগাঁওয়ের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। যেতে ঘণ্টা ২ লেগে যায়। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দূরত্ব প্রায় ১০৬ কিলোমিটার। ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি এসে সেখান থেকে যেতে হবে থাপাগাঁও। বিমানে এলে নামতে হবে বাগডোগরা বিমানবন্দরে।

Advertisement
আরও পড়ুন