Osteoporosis

অস্টিয়োপোরসিস কি প্রতিরোধ করা যায়? রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কাদের?

ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়ামের ওষুধ খেয়ে কিছু দিন সামাল দেওয়া গেলেও, তা হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করার স্থায়ী সমাধান নয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৩ ১৯:০৬
Image of Osteoporosis

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষয় হওয়া স্বাভাবিক। ছবি: সংগৃহীত।

বয়স বাড়লে হাড়ের ক্ষয় হওয়া স্বাভাবিক। তা প্রতিরোধ করতে গেলে নিয়মিত ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবার এবং শরীরে পর্যাপ্ত রোদ লাগানো জরুরি। বাইরে থেকে ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়ামের ওষুধ খেয়ে কিছু দিন সামাল দেওয়া গেলেও, তা হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করার স্থায়ী সমাধান নয়। নির্দিষ্ট একটা বয়সের পর ঋতুস্রাব বন্ধ হলে, তার প্রভাবে মহিলাদের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই অস্টিয়োপোরসিসের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। হা়ড়ের প্রধান উপাদান হল ক্যালশিয়াম এবং ফসফরাস। এ ছাড়াও, নানা ধরনের খনিজের সম্মিলিত প্রয়াসে হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এই সব উপাদেনর মধ্যে যে কোনও একটির মাত্রা কমে গেলেই হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।

Advertisement

কাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি?

১) ঋতুনিবৃত্তির পর মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ কমে যায়। যার প্রভাবে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ কমতে শুরু করে। সুতরাং অস্টিয়োপোরসিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

২) দিনের অনেকটা সময় ঘরের মধ্যে কাটান যাঁরা, তাঁদের অস্টিয়োপোরসিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া, তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদেরও অনেকটা সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে কাটাতে হয়, তাই তাঁরাও এমন সমস্যায় আক্রান্ত হতেই পারেন।

৩) যাঁরা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের এই রোগ তাড়াতাড়ি আক্রমণ করতে পারে।

অস্টিয়োপোরসিস কি প্রতিরোধ করা যায়?

অস্টিয়োপোরসিস বেশি বয়সে ধরা পড়ে বলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকার কোনও কারণ নেই। কম বয়স থেকে নিয়মিত শরীরচর্চা করলে এবং ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবার খেলে এই রোগ কিছুটা হলেও ঠেকিয়ে রাখা যায়। পাশাপাশি, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকেই নিয়মিত রক্তে ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়ামের মাত্রার পরীক্ষা করাতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement
আরও পড়ুন