Lunula

নখের অর্ধ চন্দ্রাকার দাগ কি কিডনি বা হার্টের অসুখের ইঙ্গিতবাহী? কী বোঝা যেতে পারে তা থেকে?

কারও নখে অর্ধচন্দ্র থাকে, কারও আবার থাকে না। এই জিনিসটি কী, জেনে নিন বিশদে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:০১
নখের অর্ধচন্দ্রাকার চিহ্নটি কী নামে পরিচিত?   এটি কি অসুখ সম্পর্কে সচেতন করে?

নখের অর্ধচন্দ্রাকার চিহ্নটি কী নামে পরিচিত? এটি কি অসুখ সম্পর্কে সচেতন করে? ছবি: সংগৃহীত।

নখের নীচের অংশে থাকে সাদা অর্ধচন্দ্র। তবে তা কারও থাকে, আবার কারও থাকে না। বিষয়টি নিয়ে কখনও ভেবেছেন কি? সবচেয়ে স্পষ্ট ভাবে তা দেখা যায় বুড়ো আঙুলের নখে। এর পোশাকি নাম লুনুলা। এই লুনুলাই কি শরীর সম্পর্কে ইঙ্গিত দিতে পারে? অনেকে নখ দেখে বলে দিতে পারেন শরীর বা রোগ সম্পর্কে। বলা হয়, লুনুলার রং বদল, হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ার মধ্যেই নিহিত থাকে অসুখের লক্ষণ। কারও লুনুলা স্পষ্ট, কারও অস্পষ্ট। তবে কিডনি থেকে হার্টের সমস্যা, অ্যানিমিয়া, জন্ডিসের মতো অসুখ হয়েছে কি না, লুনুলা সে ইঙ্গিত দিতে পারে।

Advertisement

লুনুলা কাদের থাকে না?

নখে অর্ধচন্দ্রকার দাগটি সকলের থাকে না। কারও আবার নির্দিষ্ট বয়সে থাকলেও, পরে উধাও হয়ে যায়। কারও নখের রঙের জন্য তা স্পষ্ট হয় না। লুনুলা কারও যদি কখনও দেখা না যায়, তাতেও কোনও সমস্যা থাকে না।

লুনুলা কখন কোন অসুখের ইঙ্গিতবাহী?

লুনুলা থাকার পরেও কখনও কখনও তা উধাও হয়ে যায়। ‘ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ’-এ প্রকাশিত পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যাচ্ছে, থাইরয়েড অথবা দীর্ঘ স্থায়ী কিডনির সমস্যার ক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে। সকলেরই যে এমনটা হবে তা অবশ্য নয়। আবার প্রোটিন কম খেলে, ভিটামিন বি১২-এর মাত্রা কমে গেলেও এই দাগ মিলিয়ে যেতে পারে। রক্ত সরবরাহ কমে গেলেও নখের এই অংশটি কুঞ্চিত দেখাতে পারে।

নখের নীচের অংশ নীলচে বা বেগনি বর্ণ ধারণ করলে বুঝতে হবে রক্ত সরবরাহ সমস্যা হচ্ছে। হার্টের অসুখের ইঙ্গিত দেয় এমন বর্ণ। কারও নখে লুনুলা বড় হয়ে দেখা দিলে তা উচ্চ রক্তচাপের ইঙ্গিত বহন করে। আবার তা হলদেটে দেখালে জন্ডিসের মতো অসুখ নিয়ে সতর্ক হওয়া দরকার।

লুনুলা ইঙ্গিত নিয়ে কি সতর্কতা জরুরি?

লুনুলার ইঙ্গিত দেখে সিদ্ধান্তে আসা অনুচিত। কারণ কিডনির অসুখ বা হার্টের সমস্যা হয়েছে কি না, তা একমাত্র চিকিৎসক বলতে পারবেন। নির্দিষ্ট পরীক্ষার মাধ্যমে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। তবে লুনুলার রং বদল বা আচমকা তা উধাও হলে শরীর-স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়াই যায়। যদি শারীরিক কোনও সমস্যা এই ইঙ্গিতের সঙ্গে মিলে যায়, তা হলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া প্রয়োজন।

Advertisement
আরও পড়ুন