‘গজনি’ ছবিতে আমির খানের লুক। ছবি: সংগৃহীত।
২০০৮ সালে মুক্তি পায় আমির খান অভিনীত হিন্দি ছবি ‘গজনি’। এই ছবিতে আমিরের সুঠাম শরীর দর্শকদের চমকে দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আমিরের ফিটনেস সফরের একটি ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের অন্যতম ‘কঠিন’ সফর নিয়ে কথা বলেছেন আমির।
আমির জানিয়েছেন, ‘গজনি’র জন্য সুঠাম দেহ তৈরি করতে প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা জিমে সময় কাটাতেন তিনি। পাশাপাশি কড়া ডায়েট মেনে চলতে হত তাঁকে। ছবিতে আমিরের সিক্স প্যাক অ্যাব্স ছিল। মজার বিষয়, শরীরচর্চার আগে দেহকে গরম করতে পেটের ব্যায়াম করতেন আমির। অভিনেতার কথায়, ‘‘ এক ঢিলে দুই পাখি— ওয়ার্ম আপও হবে, আবার অ্যাব্সও তৈরি হবে। আমি প্রতিদিন প্রায় ২০০ বার করে পেটের ব্যায়াম করতাম।’’ আমির জানিয়েছেন, তার মধ্যে ২৫টি করে ক্রাঞ্চ এবং হ্যাঙ্গিং লেগ রেজ় থাকত। আমিরের কথায়, ‘‘একটা সময়ের পর শরীর মানিয়ে নেয়। ফলে একটা সময়ে ২০০ বার করে পেটের ব্যায়ামও খুব সহজ হয়ে গিয়েছিল।’’
আমির জানিয়েছেন, সময়ের সঙ্গে পেটের ব্যায়ামের ক্ষেত্রে তিনি রিপিটেশনও বাড়াতে সক্ষম হয়ছিলেন। আমির বলেন, ‘‘৩০০ থেকে ৪০০। তার পর এক দিন ভাবলাম ৫০০ করা যাক। এই ভাবে কয়েক মাসের মধ্যে আমি ১ হাজারে পৌঁছে গিয়েছিলাম।’’ আর এই কঠিন লক্ষ্যপূরণ করতে আমিরের প্রায় ৫৫ মিনিট সময় লাগত।
আমির জানিয়েছেন, ওয়ার্ম আপের পর তিনি মূলত দেহের দুটো অংশের ব্যায়াম করতেন। তার পর ১ ঘণ্টা চলত কার্ডিয়ো সেশন। অভিনেতার কথায়, ‘‘শরীরচর্চা যত ক্ষণে শেষ হত, তত ক্ষণে এতটাই ক্লান্ত হয়ে যেতাম, যে স্নান করে ঘুমিয়ে পড়তাম।’’
আমির স্বীকার করেছেন, চরিত্রের প্রয়োজনেই তিনি বেশি শরীরচর্চা করেছিলেন। ফিটনেস এক্সপার্টদের একাংশের মতে, শরীরের কোনও একটি অংশে নিয়মিত চাপ সৃষ্টি হলে তা পেশির পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। অনেক সময়ে দেহের সেই অংশটি তার স্বাভাবিক ক্রিয়াও বন্ধ করে দিতে পারে। তাই এই ধরনের ভারী শরীরচর্চা কোনও প্রশিক্ষকের অধীনেই করা উচিত।