ওজন ঝরবে মশলার গুণে। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমানো সহজ কাজ নয়। খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানা থেকে ব্যায়াম, কী না করতে হয় এর জন্য!
অনেক ধরনের জিনিস খেলেই ওজন কমে বলে শোনা যায়। কিন্তু জিরের মতো মশলা কমই আছে। এর যে কত গুণ, নিয়ম করে খেলে তবেই বোঝা যাবে। কাঁচা হোক বা ভাজা, কিংবা গুঁড়ো করেও খাওয়া যায়। রান্নায় জিরে দিলে তো কথাই নেই। তা ছাড়া টক দই আর স্যালাডেও দেওয়া হয় জিরে। তবে জিরে খাওয়ার আরও একটি উপায় আছে। তা ততটা প্রচলিত নয়। কিন্তু সে ভাবে খেলে শরীরের যত্ন যথেষ্ট হবে। সারা রাত গোটা জিরে ভিজিয়ে রেখে, সকালে সেই জল খেলে পেটের মেদ ঝরে। ওজন কমে।
কী ভাবে তা সম্ভব? জিরেতে থাকে থাইমল নামক একটি পদার্থ, যা শরীরে বেশি পরিমাণ বাইল তৈরিতে সাহায্য করে। বাইল হল এমন একটি তরল, যা হজমে সাহায্য করে। বিশেষ করে কার্বোহাইড্রেট আর ফ্যাট ভাল হজম হয় বাইলের সাহায্যে। জিরের গন্ধও শরীরে গেলে বেশি পরিমাণ এনজাইম তৈরি হয়। তার প্রভাবেও হজম প্রক্রিয়া গতি পায়। হজমশক্তি বাড়লে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সুবিধা হয়।
জিরে ভেজানো জল আরও কী ভাবে সাহায্য করে ওজন কমাতে?
১) ওজন নিয়ন্ত্রণের প্রথম ধাপ হল, যত ক্যালোরি ঝরাবেন, তার থেকে কম ক্যালোরি খাবেন। সে দিক থেকে জিরের জলের উপকারিতা যথেষ্ট। এক গ্লাস জিরে ভেজানো জলে থাকে মাত্র ৭ ক্যালোরি।
২) হজমপ্রক্রিয়া বাড়ায় এই জল। তাই পেটে মেদ জমার সুযোগ কম পায়।
৩) কাজের মাঝে কথায় কথায় টুকিটাকি খেতে ইচ্ছা করে। আর এ হল ওজন বাড়ার সবচেয়ে বড় কারণ। জিরের জলে ক্যালোরি বেশি না থাকলেও পেট বেশ ভর্তি রাখে। ফলে যখন তখন খাওয়ার ইচ্ছাও কমে। তাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কী ভাবে খাওয়া যাবে?
শুধু জিরে নয়, সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে তবেই হবে কাজ। ১ টেবিল চামচ জিরে ১ গ্লাস জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে ছেঁকে সেই জলে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। এ ছাড়া ১ টেবিল চামচ জিরে দেড় কাপ জলে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। মিনিট দশেক পর সেই জল ছেঁকে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন।
জিরে জল আর কী কী উপকারে লাগে?
১) ত্বকের জন্য বেশ উপকারী জিরের জল। ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
২) ঋতুস্রাবকালীন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
৩) ফুসফুসের সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।