ব্রেন্ডন ম্যাকালাম (বাঁ দিকে) ও বেন স্টোকস। —ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ব্যর্থ বেন স্টোকস-ব্রেন্ডন ম্যাকালাম জুটি। অ্যাশেজ়ে প্রথম তিন টেস্টেই হেরেছে ইংল্যান্ড। আরও এক বার সিরিজ় হারতে হয়েছে। কোনও রকমে চুনকামের লজ্জা থেকে বাঁচলেও সমালোচনার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না অধিনায়ক স্টোকস ও কোচ ম্যাকালাম। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারেরাও তি তাঁদের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন? এই প্রশ্নের জবাব দিলেন জো রুট।
ইংল্যান্ডের এই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রুট। সবচেয়ে বেশি দিন ধরে খেলছেন তিনি। এক সময় অধিনায়কও ছিলেন। তাঁর মতে, খেলায় হার-জিত হতেই পারে। কিন্তু দেখতে হবে স্টোকস-ম্যাকালামের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটের কতটা উন্নতি হয়েছে। বিবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুট বলেন, “আমরা ম্যানেজমেন্টের উপর বিশ্বাস রাখছি। ওরা দারুণ কাজ করেছে। আমি চার বছর আগে যখন অধিনায়ক ছিলাম, তখনকার থেকে এখনকার দলের তফাতটা দেখুন। প্রত্যেক ক্রিকেটার কতটা উন্নতি করেছে দেখুন। গোটা দল উন্নতি করেছে। এত কাজের পর ওদের উপর আঙুল তোলা অন্যায় হবে।”
তাঁরা যে ভাল খেলতে পারেননি সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন রুট। তার পরেও এই দলের উপরেই ভরসা রাখছেন তিনি। রুট বলেন, “হ্যাঁ, আমাদের বেশ কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। আরও পরিশ্রম করতে হবে। ম্যানেজমেন্ট তো সেই চেষ্টাই করছে। ইংল্যান্ডের দল আগে যেমন ছিল, এখন তেমন নেই। অনেক বদল হয়েছে। আমরা অনেক উন্নতি করেছি। তার নেপথ্যে স্টোকস ও ম্যাকালামের বড় ভূমিকা আছে।”
অস্ট্রেলিয়ায় নিজের চতুর্থ অ্যাশেজ় সিরিজ় খেলছেন রুট। চার বারই হারতে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে একটি টেস্ট জিততে পেরেছেন তাতে খুশি ইংরেজ ব্যাটার। তিনি বলেন, “সিরিজ় হেরে হতাশ। প্রতি বার এখানে এসে এত পরিশ্রম করেও হারতে খারাপ লাগে। আমরা কখনওই হারার মানসিকতা নিয়ে নামি না। তাই আরও খারাপ লাগছে। কিন্তু আমরাও পাল্টা আঘাত করেছি। ১৫ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জিতেছি। এই কৃতিত্বও কম নয়।”
স্টোকস ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ও ম্যাকালাম কোচ হওয়ার পর ৪৫ টেস্টের মধ্যে ২৬টিতে জিতেছে ইংল্যান্ড। তাঁদের জেতার শতাংশ ৫৭। তার আগে রুটের অধিনায়কত্বে ইংল্যান্ড ৬৪ টেস্টের মধ্যে ২৭টি জিতেছিল। সেই কথাই হয়তো বলতে চেয়েছেন রুট। তবে স্টোকস, ম্যাকালাম জমানায় তিনটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল হয়েছে। এক বারও ফাইনালে উঠতে পারেনি ইংল্যান্ড। এ বারও ওঠার সম্ভাবনা প্রায় নেই। ফলে রুট পাশে দাঁড়ালেও নিজের দেশেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন স্টোকসেরা।