Longevity Tips

দীর্ঘ যৌবন পাওয়ার রহস্য কী? ৫ পন্থা মানলে বদলে যাবে জীবন, নীরোগ থাকা যাবে বহু বছর

শরীরে কাটাছেঁড়া না করেই দীর্ঘ যৌবন লাভ করার কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, নীরোগ শরীরে শতায়ু হতে চাইলে রোজের যাপনে কিছু অভ্যাস রপ্ত করতেই হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ১১:২১
Five easy habits for to improve your health and live a healthy long life

দীর্ঘ যৌবন পাওয়ার রহস্য পাঁচ টোটকায়। ফাইল চিত্র।

দীর্ঘায়ু পাওয়ার উপায় কী? ভাল খাওয়া, শরীরচর্চা, না কি নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ সেবন? কোনও রকম ‘অ্যান্টি-এজিং’ চিকিৎসা না করিয়ে, ওষুধপত্র বা সাপ্লিমেন্ট না নিয়েও দীর্ঘ যৌবন লাভ করা যায়। বার্ধক্য ঠেকিয়ে যৌবন ধরে রাখার চিকিৎসা নিয়ে এখন বিশ্ব জুড়েই বিজ্ঞানীরা মাথা ঘামাচ্ছেন। কখনও নতুন ওষুধ নিয়ে চর্চা হচ্ছে, তো কখনও হরমোন থেরাপি। তবে রোজের জীবনযাপনে সামান্য কিছু বদল এনেই বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখানো যায় অবলীলায়।

Advertisement

শরীরে কাটাছেঁড়া না করেই দীর্ঘ যৌবন লাভ করার কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, নীরোগ শরীরে শতায়ু হতে চাইলে রোজের যাপনে এমন কিছু অভ্যাস রপ্ত করতে হবে, যা দীর্ঘ সময় শরীর ও মনকে সুস্থ এবং তরতাজা রাখবে।

কী কী সেই অভ্যাস?

ভাল থাকতে চাইলে ভাল খেতে হবে

পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দিয়ে শুরুটা হোক। প্রচুর পরিমাণে রঙিন ও সবুজ শাকসব্জি, বাদাম, বীজ, শস্য এবং ডাল খেতে হবে। গবেষকেরা বলেন, ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েট বা মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট মেনে চলতে পারলে সুস্থ থাকা যায়। বার্ধক্যও আসে দেরিতে। সেই ডায়েট পুরোপুরি উদ্ভিজ্জ খাবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উপরেই নির্ভরশীল। তবে এ দেশের জলবায়ু ও আবহাওয়া বিচার করলে তেমন ডায়েট পুরোপুরি মেনে চলা সম্ভব নয়। সে দিক থেকে এখানে যা পাওয়া যায়, যেমন নানা রকম ডাল, ফলমূল, দানাশস্য বেশি করে খেতে হবে। রেড মিট পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। বাইরের খাবার ও প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া বন্ধ করতে হবে। রাতে মশলাদার, গুরুপাক ভরপেট খাবেন না। রাত আটটার মধ্যে খাওয়া শেষ করুন।

নিয়ম মেনে শরীরচর্চা

যন্ত্র-নির্ভর ব্যায়াম নয়, বরং প্রকৃতির মাঝে হাঁটাহাঁটি, সাঁতার, যোগব্যায়ামই হল সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। নিয়ম করে প্রতি দিন সকালে হাঁটা, বাগান করা, সবুজ গাছপালার পরিচর্যা করলে দীর্ঘ সময় অবধি অসুখবিসুখ ঠেকিয়ে রাখা যাবে বলেই পরামর্শ গবেষকদের।

অ্যালকোহল নৈব নৈব চ

হৃদ্‌রোগ, ক্যানসার, কিডনির রোগ বা লিভার সিরোসিস থেকে বাঁচতে মদ্যপান ছাড়তে হবে। কম বয়স থেকেই যদি আসক্তি ত্যাগ করতে পারেন, তা হলে বয়সকালে দুরারোগ্য ব্যাধি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।

কাজের মাঝে বিরতি

কাজের চাপ থাকলেও একটানা কাজ করে যাবেন না। মাঝে বিরতি নেওয়া জরুরি। তাতে ক্লান্তির পরিমাণ কম হয়। জাপানি ভাষায় কাজের মাঝে ২৫ মিনিটের বিরতি নেওয়াকে ‘পমদেরো টেকনিক’ বলা হয়। এতে কাজে মনোযোগ বাড়ে। মনের উপর চাপ ঠেকিয়ে রাখা যায়। মন ভাল থাকলে শরীরও ভাল থাকবে।

যন্ত্র থেকে দূরে থাকুন

কাজের প্রয়োজন ছাড়া যন্ত্রের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। ডিজিটাল মাধ্যমগুলিতে সর্ব ক্ষণ সক্রিয় থাকলে কাজের সুবিধা হলেও এতে মন, মাথা এবং শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। তাই দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় ছাড়া সমাজমাধ্যম ব্যবহারে রাশ টানা জরুরি।

আরামের ঘুম

ঘুমের সমস্যা হলে শরীর কিছুতেই ভাল থাকবে না। রাতে টানা ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমই শরীর ‘ডিটক্স’ করবে। রাতে শোয়ার আগে প্রাণায়াম আর শবাসন অভ্যাস করুন। প্রাণায়ামে অভ্যস্ত না হলে, চোখ বন্ধ করে শুয়ে ধীরে ধীরে বুক ভরে শ্বাস নিন, আস্তে আস্তে ছাড়ুন। পাঁচ বার করুন। উত্তেজনা দূর হয়ে শরীর শান্ত হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন