Shahid-Mira’s Kids Lifestyle

৩টি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস রপ্ত করতে হয়েছে শাহিদ-মীরার সন্তানদের, দুই খুদের যাপন ঠিক কেমন

শাহিদ কপূর ও মীরা রাজপুতের স্বাস্থ্যকর যাপনের প্রভাব পড়েছে তাঁদের দুই সন্তান মিশা এবং জৈনের উপর। সন্তানদের জন্য কী কী নিয়ম তৈরি করেছেন তিনি?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:১৫
How do Shahid Kapoor and Mira Rajput take care of their children with healthy habits

কোন নিয়ম মেনে চলে শাহিদ ও মীরার সন্তানেরা? ছবি: সংগৃহীত।

সন্তানকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো অধিকাংশ বাবা-মায়ের জন্যই যুদ্ধসম। আর পাঁচ জন সাধারণ বাবা-মায়ের মতোই নিত্য দিন শাহিদ কপূর এবং মীরা রাজপুতকে সেই লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কেবল স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরি নয়, সুস্থ যাপন গঠনের জন্যেও তাঁরা কসরত করে চলেছেন। তারকা অভিভাবক হিসেবে তাঁদের জীবন এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়।

Advertisement

শাহিদ ও মীরা একটি সাক্ষাৎকারে তাঁদের রোজের যাপনের ঝলক দিয়েছিলেন। তাঁদের স্বাস্থ্যকর যাপনের প্রভাব পড়েছে তাঁদের দুই সন্তান, ৯ বছরের মিশা কপূর এবং ৭ বছরের জৈন কপূরের উপর। মীরাকে সেখানে প্রশ্ন করা হয়, সন্তানদের জন্য কী কী নিয়ম তৈরি করেছেন তিনি? মীরা তিনটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কথা উল্লেখ করেন।

শাহিদ-মীরা তাঁদের সন্তানদের জন্য কী কী স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করেছেন বাড়িতে?

১. মীরা জানালেন, প্রতি বার খাবার খাওয়ার পর মিশা ও জৈনকে ১০০ পা হাঁটানোর চেষ্টা করেন রোজ, যাতে তাদের বদহজমের সমস্যা না তৈরি হয়।

২. সন্তানদের একাধিক রকমের ফল এক বারে খাওয়ান না মীরা। এক বারে এক রকমের ফল খাওয়ান। বিভিন্ন ফল হজমের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সময় ও এনজ়াইমের প্রয়োজন। তাই নানা ফল একসঙ্গে খেলে গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার সমস্যা হতে পারে। তাই অনেক পুষ্টিবিদই একসঙ্গে একটি ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন।

৩. ঘুমোনোর আগে দু’জনেই একটি ছোট কাপে করে গরম দুধ খাওয়ান শাহিদ-পত্নী। তাতে মেশানো থাকে গুড়, ঘি আর হলুদ। দুধের ট্রিপ্টোফ্যান ও গুড় ঘুমের মান উন্নত করতে পারে। ঘি খেলে হজমক্ষমতা বাড়ে ও গাঁটের স্বাস্থ্য ভাল হয়। হলুদ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং প্রদাহ নাশ করে।

তবে কপূর পরিবারে যে তা নিয়ে বিবাদ বাধে না, তা নয়। সন্তানদের কাছে, ‘স্বাস্থ্যকর খাবার’ আর ‘স্বাদহীন খাবার’ সমার্থক শব্দ। তাই সে খাবার খাওয়ানো নিয়ে তর্কবিতর্ক চলতেই থাকে। শাহিদের কথায়, ‘‘আমাদের মেয়ে এখন একটু বড় হয়েছে। তাই খাবারদাবারের বিষয়ে তাঁর মতামত তৈরি হয়েছে। আর আমরা যখন মাসে এক বার খাওয়ার রুটিন তৈরি করি, তখন মীরা আর মিশার মধ্যে বেশ তর্ক চলে। আমি আর জৈন অবশ্য সেখানে দর্শক হিসেবে খুব মজা পাই।’’

Advertisement
আরও পড়ুন