Cholesterol Control Tips

বাড়ছে কোলেস্টেরলের মাত্রা! ওষুধের পাশাপাশি পাতে রাখুন ৫ খাবার, ধমনীর প্ল্যাক গলাতে সাহায্য করবে

মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের কারণও হতে পারে। অল্প বয়স থেকেই কোলেস্টেরল হানা দিচ্ছে জীবনে। খাওয়াদাওয়া থেকে যাপন, সবেতেই স্বাস্থ্যকর নিয়মের হাতছানি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, খাদ্যাভ্যাস ঠিক করতেই হবে, না হলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো যাবে না। কী কী খাবেন কোলেস্টেরল কমানোর জন্য?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:২৮

ছবি: সংগৃহীত।

শীতে দেদার ভাজাভুজি, মিষ্টি খাচ্ছেন। ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। অল্প বয়স থেকেই কোলেস্টেরল হানা দিচ্ছে জীবনে। খাওয়াদাওয়া থেকে যাপন, সবেতেই স্বাস্থ্যকর নিয়মের হাতছানি। ওষুধ লিখে দেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকদের একটিই কথা, খাদ্যাভ্যাস ঠিক করতেই হবে, না হলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো যাবে না। আর নয়তো মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের কারণও হতে পারে। ডায়েটে এখন সুষম আহার প্রয়োজন। তবে তার পাশাপাশি, কয়েকটি খাবার খেয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন সহজে। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকেরা যে যে খাবারকে এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেন, তার একটি তালিকা দেওয়া হল।

Advertisement

আমলকি: ভিটামিন সি, নানাবিধ খনিজ এবং অ্যামাইনো অ্যাসিডে ভরপুর আমলকি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের (এলডিএল) মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। এমনকি করোনারি আর্টারি ডিজ়িজ় (হার্টে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলিতে প্ল্যাক জমে সরু হয়ে যায়, ফলে হার্টের পেশিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও রক্ত পৌঁছোতে পারে না) এবং অ্যাথেরোসক্লেরোসিস (এমন একটি অবস্থা যেখানে ধমনীর ভিতরে প্ল্যাক জমা হয়) রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে আমলকি।

গ্রিন টি: পলিফেনলের সমৃদ্ধ উৎস গ্রিন টি। খারাপ কোলেস্টেরলের (এলডিএল) মাত্রা কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরলের (এইচডিএল) মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম গ্রিন টি।

ছবি: সংগৃহীত।

লেবু: লেবুর মতো বাকি সাইট্রাস ফলগুলিতেও একই রকম উপকার মিলতে পারে। এগুলিতে ভরপুর রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিতে পারে এই ফলগুলি। একইসঙ্গে প্রদাহ কমানোর জন্যও সুখ্যাতি রয়েছে। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে অ্যাথেরোসক্লেরোসিসের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে লেবু।

পালংশাক: একাধিক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানে ভরা পালংশাক। সামগ্রিক ভাবে স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই শাকের গুরুত্ব রয়েছে। পালংশাকের ক্যারোটিনয়েডস শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করার জন্য জনপ্রিয়।

আখরোট: ওজন নিয়ন্ত্রণে এনে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে পারে আখরোট। আখরোটযুক্ত খাদ্যাভ্যাসে মূলত পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এই ধরনের খাবার খেলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।

Advertisement
আরও পড়ুন