Hing for Digestive Issues

গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার অব্যর্থ টোটকা হল হিং, কোন রোগ সারাতে কী ভাবে খাবেন?

পেটরোগা বাঙালির তো পেটের ব্যামো লেগেই থাকে। হাতের কাছে একটু হিং থাকলে তা দিয়ে ঘরোয়া টোটকা বানিয়ে নেওয়াই যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৫ ১৯:৫৭
Hing

পেটের রোগ পালাবে হিঙের গুণে। ছবি: সংগৃহীত।

কাবুলিওয়ালার ঝোলা থেকে বেরিয়ে সেই কোন প্রাচীন কালে বাঙালি হেঁশেলে প্রবেশ করেছিল হিং। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত তাকে কেউ টেক্কা দিতে পারেনি। তা সে রান্নার মশলাই বলুন বা কোনও রোগের ঘরোয়া টোটকা— সবেতেই তার ‘হাতযশ’।

Advertisement

সাধারণ সেদ্ধ ডালের স্বাদ যেমন বদলে যায় হিঙের সংস্পর্শে, তেমন পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া ‘নিরামিষ’ পাঁঠা রাঁধলেও এই মশলার খোঁজ পড়ে। আবার ধরুন, পেটরোগা বাঙালির তো পেটের ব্যামো লেগেই থাকে। হাতের কাছে একটু হিং থাকলে তা দিয়ে ঘরোয়া টোটকা বানিয়ে নেওয়াই যায়। কিন্তু কোন রোগে কী ভাবে হিং খেলে উপকার মিলবে, তা জানা আছে?

১) গ্যাস, পেটফাঁপার সমস্যায়:

অনেক ক্ষণ কিছু খাওয়া হয়নি কিংবা সকাল এমন কিছু খেয়েছেন যে সারা সন্ধ্যা পেট ফুলে বেলুনের মতো হয়ে আছে। কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না। এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে এক চিমটে হিং মিশিয়ে খেয়ে নিন। খানিক ক্ষণের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে। এমনকি হজমের গোলমাল কিংবা ক্ষণে ক্ষণে পেট মোচড়ের অস্বস্তিও দূর হবে।

২) হজমের গোলমাল হলে:

পর পর নিমন্ত্রণ থাকলে একটু বেশি খাওয়াদাওয়া হয়েই যায়। রাতে চোঁয়া ঢেকুর, হজমের গোলমাল অবধারিত। ডাক্তারি ভাষায় বললে ‘অ্যাসিড রিফ্লাক্স’, সে সবই সেরে যেতে পারে আদার সঙ্গে হিং মিশিয়ে খেলে। এক টুকরো আদা হামানদিস্তা দিয়ে থেঁতো করে নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক চিমটে হিং। এই টোটকা মুখে দিয়ে ঈষদুষ্ণ জল খেতে পারেন অল্প। কিছু ক্ষণের মধ্যেই অস্বস্তি থেকে রেহাই পাবেন।

৩) ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম হলে:

সারা ক্ষণ পেটের মধ্যে অস্বস্তি। মলত্যাগ করলে যেন একটু ঠিক লাগছে। পরক্ষণে আবার যে কে সেই। কারও আবার তলপেট মোচড় দিচ্ছে, সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও আছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই ধরনের সমস্যা ‘ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম’ নামে পরিচিত। এই ‘আইবিএস’ থেকে মুক্তি পেতে হিঙের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন