Portable Air Purifier

ছোট্ট লকেট ধোঁয়া-ধুলো আটকাবে! দূষণ থেকে ফুসফুস বাঁচাতে এল গলায় ঝোলানো ‘এয়ার পিউরিফায়ার’

ছোট্ট লকেটের মতো দেখতে। গলায় ঝোলানো যাবে সহজে। দেখতে ছোট হলেও এর গুণ কম নয়। ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করতে যে ধরনের হেপা ফিল্টার লাগানো হয়, তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি শক্তি এই এয়ার পিউরিফায়ার লকেটের।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:১৩
India’s first portable air purifier has witnessed a surge in demand

দূষণ থেকে ফুসফুস বাঁচাবে এয়ার পিউরিফায়ার লকেট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

মাস্ক পরে ঘোরার ঝক্কি থাকবে না। ধোঁয়া-ধুলো ও বিষাক্ত গ্যাসে পূর্ণ দূষিত বাতাসও ফুসফুসের খুব একটা ক্ষতি করতে পারবে না। দূষণের থাবা থেকে ফুসফুস বাঁচাতে তৈরি হয়েছে পোর্টেবল এয়ার পিউরিফায়ার। গত বছরের শেষ থেকেই এমন পিউরিফায়ার নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এ বছর দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় দূষণের পাল্লা এতটাই ভারী যে, সুস্থ ভাবে শ্বাস নেওয়াই দায় হয়ে উঠেছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার যাবতীয় পন্থা সময়সাপেক্ষ, কাজেই প্রাথমিক ভাবে ফুসফুসকে সুরক্ষা দিতে গলায় ঝোলানো এয়ার পিউরিফায়ার তৈরি হয়েছে। খবর, গত কয়েক সপ্তাহে এমন পিউরিফায়ারের চাহিদা তুঙ্গে।

Advertisement

ছোট্ট লকেটের মতো দেখতে। গলায় ঝোলানো যাবে সহজে। দেখতে ছোট হলেও এর গুণ কম নয়। ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করতে যে ধরনের হেপা ফিল্টার লাগানো হয়, তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি শক্তি এই এয়ার পিউরিফায়ার লকেটের। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দূষণবাহী কণা ছেঁকে নিতে পারে এর শক্তিশালী ফিল্টার। গলায় পরে থাকলে আশপাশের বাতাস বিশুদ্ধ থাকবে। এমনই দাবি করা হয়েছে। এয়ার পিউরিফায়ারটি বানিয়েছে গুরুগ্রামের অ্যাটোভিয়ো নামে একটি সংস্থা। পিউরিফায়ারটির নাম দেওয়া হয়েছে 'অ্যটোভিয়ো পেব্‌ল'। তৈরির পরে সেটি কানপুর আইআইটিতে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। গলায় পরিয়ে দেখাও হয়, সেটি কী ভাবে কাজ করছে। পিউরিফায়ারটি কী পরিমাণে দূষণবাহী কণা, বিষাক্ত গ্যাস ঠেকাতে পারে, তার পরীক্ষাও হয়। তাতে দেখা যায়, নাক থেকে অন্তত ২৫ সেন্টিমিটার দূরত্বে যদি পিউরিফায়ারটি রাখা যায়, তা হলে সেটি শরীরের আশপাশের বাতাস অন্তত ৪০ থেকে ৫৩ শতাংশ পরিশোধন করতে পারে।

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বাতাসে ভাসমান যে ১২টি দূষক চিহ্নিত করেছে তার মধ্যে দু’টি, পিএম (পারটিকুলেট ম্যাটার) ১০ ও পিএম ২.৫ যা শীতের সময়ে বিপদসীমা ছাড়িয়ে যায়। পিএম হল বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা, যার মধ্যে কার্বন, সালফার, নাইট্রিক অক্সাইড-সহ অন্যান্য দূষক মিশে থাকে। দৈনিক প্রতি ঘনমিটার বাতাসে পিএম ১০ ও পিএম ২.৫-এর পরিমাণ যথাক্রমে ১০০ ও ৬০ মাইক্রোগ্রাম অতিক্রম করলে তা জনস্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। দিল্লিতে এই নিরাপদ মাত্রা অতিক্রম করে গিয়েছে বহু দিন। পিছিয়ে নেই কলকাতাও। অতিসূক্ষ্ম বলেই পিএম ২.৫ নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে ফুসফুস, হার্ট ও মস্তিষ্কে ছড়িয়ে যায়। শীতের সময়ে এই সব ভাসমান দূষকের মাত্রা বাড়ে। তার মধ্যেই কালীপুজো-দীপাবলিতে সেই সব দূষকের সঙ্গে বাজির রাসায়নিকও মেশে। ফলে বাতাসের গুণমান খারাপ থেকে অতি খারাপের দিকে চলে যায়। তাই এই সময়টাতেই হাঁপানি, সিওপিডি, অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে। এর থেকে বাঁচতেই এমন বহনযোগ্য পিউরিফায়ার তৈরি হয়েছে, যা কিছুটা হলেও সুরক্ষা দিতে পারবে। উল্লেখ্য, পিউরিফায়ারটি এই মুহূর্তে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। দাম ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে।

Advertisement
আরও পড়ুন