সকালে বা বিকেলে নিয়ম করে পার্কে হাঁটা কিংবা ট্রেডমিলে থাউজ়েন্ড স্টেপস অনেকেই করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে হাঁটার গতিবেগ একই রকম থাকে। এই হাঁটা কতটা কার্যকর, তা নির্ভর করে গতি ও ছন্দের উপরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জাপানিজ় ডিস্ক ওয়াকিং পদ্ধতিতে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়। ইন্টারভ্যাল ওয়াকিংয়েরই আলাদা প্রকার জাপানিজ় ডিস্ক ওয়াকিং। এখানে হাঁটার বেগ বদল করতে হয়।
হাঁটার সময়টা কয়েকটা ভাগে ভাগ করে নিন—
কেন জাপানিজ় ডিস্ক ওয়াকিং পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে, তার কয়েকটি কারণ আছে—
হাঁটার পরে কিছু স্ট্রেচ করে নিতে হবে, তাতে পায়ের পেশির শক্তি বাড়বে। একটু উঁচু জায়গায় মেঝের সমান্তরালে পা তুলে দিন। হাঁটু ভাঁজ না করে যতটা সম্ভব নিচু হওয়ার চেষ্টা করুন। দু’পায়ে দশ বার করে এটি করুন। পার্কের বেঞ্চে বা বাড়ির সিঁড়ির ধাপেই এটি করা যায়। যত উঁচুতে পা তুলে এটি করতে পারবেন, স্ট্রেচিং তত ভাল হবে। কাফ মাসলের জন্য একটু উঁচু জায়গায় পায়ের আঙুলে ভর দিয়ে উঠুন আর নামুন, এটা ১৫বার অন্তত করুন।
দুটো বিষয় খেয়াল রাখবেন, হাঁটার জুতো যেন ভাল হয়। স্নিকার্স পরাই বাঞ্ছনীয়। এ ছাড়া হাঁটতে বেরনোর আগে ভাল করে জল খেয়ে নিন। নয়তো পেশিতে টান পড়তে পারে।
জাপানিজ় ডিস্ক ওয়াকিং সব বয়সের জন্যই কার্যকর। এই পদ্ধতিতে পার্ক বা রাস্তায় হাঁটা যায়। ট্রেডমিলেও করা যায়। ট্রেডমিলে হাঁটলে মাঝের কিছুটা সময়ে ইনক্লাইন ওয়াক করতে পারেন। তবে কারও যদি হাঁটুতে ব্যথা, পায়ে কোনও সার্জারি হয়ে থাকে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই শারীরচর্চার পদ্ধতি ঠিক করতে হবে।