Personal Hygiene

সারা দিনের জন্য বেরিয়েছেন, পথে শৌচাগার ব্যবহারের সময়ে কী নিয়ম মানবেন মেয়েরা? ব্যাগে কী রাখবেন?

ঘুরে বেড়িয়ে যদি রাস্তাঘাটে শৌচাগার ব্যবহার করতে হয়, তা হলে নিয়ম মানতে হবে। বিশেষ করে মেয়েদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে। সঙ্গে কী কী জিনিস অবশ্যই রাখবেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:৪৭
Safety habits traveller should adopt before using Public Toilet

রাস্তাঘাটে শৌচাগার ব্যবহার করতে হলে কী নিয়ম মানবেন? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

শীত পড়ছে। এই সময়ে ঘোরাঘুরিও বাড়বে। রাস্তাঘাটে শৌচালয় ব্যবহারের প্রয়োজনও হবে। সব জায়গার শৌচাগার যে পরিচ্ছন্ন হয়, তা নয়। কাজেই নিজেকেই সতর্ক থাকতে হবে। মেয়েদের শৌচাগার ব্যবহারের সময়ে বিশেষ করে নিয়ম মানা জরুরি। নইলে জীবাণু সংক্রমণের ভয় থেকেই যাবে। মহিলাদের বিশেষ করে অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার থেকে মূত্রনালির সংক্রমণের ভয় বেশি থাকে। আবার এমনও দেখা যায়, অফিসের পরিষ্কার বাথরুম ব্যবহারের পরেও ঘন ঘন মূত্রনালির সংক্রমণ ভোগাচ্ছে। শৌচাগার পরিচ্ছন্ন হোক বা না হোক, নিজেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। তাই বাড়ির বাইরের শৌচাগার ব্যবহার করতে হলে মেয়েদের যা যা নিয়ম মানতে হবে, তা জেনে রাখা জরুরি।

Advertisement

রাস্তাঘাটে শৌচাগার ব্যবহারের নিয়মবিধি

ব্যাগে যা যা রাখবেন

হাতব্যাগে বা কাঁধের ঝোলা ব্যাগে কিছু জিনিস গুছিয়ে রাখবেন। যাতে প্রয়োজনের সময়ে হাতের কাছেই পেয়ে যান। হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার রাখতেই হবে। সেই সঙ্গে রেখে দেবেন টয়লেট সিট স্যানিটাইজার স্প্রে, স্যানিটারি ওয়াইপস্। টিস্যু পেপার বা টয়লেট পেপার সঙ্গে রাখা ভাল। শৌচাগারে যে টয়লেট পেপার থাকবে সেটি ব্যবহার না করাই ভাল। লং ড্রাইভে যদি যান, তা হলে এই সব জিনিস সঙ্গে নিতেই হবে। আরও কিছু জিনিস রেখে দিন, যেমন ডিসপোজ়েবল পেপার সিট কভার, জ়িপ লক ব্যাগ বা পেপার পাউচ।

শৌচাগার ব্যবহারের সময়ে কী নিয়ম মানবেন?

১) টয়লেটের সিট, দরজা বা হাতল হাত দিয়ে না ধরাই ভাল। সে ক্ষেত্রে টিস্যু পেপার বা স্যানিটারি ওয়াইপস্ ব্যবহার করুন।

২) শৌচাগারের মেঝেতে ব্যাগ বা কাপড় রাখবেন না। আপনার হাতলওয়ালা ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে রাখুন বা হুকে টাঙিয়ে দিন।

৩) কমোড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সিটটিকে স্যানিটাইজিং ওয়াইপ দিয়ে বা আপনার সঙ্গে রাখা টয়লেট সিট স্যানিটাইজ়ার স্প্রে দিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। সবচেয়ে ভাল হয় স্প্রে করলে। তার পর শুকনোর জন্য কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করুন।

৪) জীবাণুনাশক স্প্রে ছড়ানোর পর সব সময়ে আগে ফ্লাশ করে নেবেন। তার পর ব্যবহার করবেন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

৫) কমোডের সিটে যদি স্পর্শ এড়াতে চান, তা হলে আপনার ব্যাগে রাখা সিট কভার বিছিয়ে দিন। এতে সংক্রমণের ভয় অনেকটাই কমবে।

৬) ব্যবহারের পর সাবান ও জল দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ভাল ভাবে পরিষ্কার করুন। তার পর হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করুন।

৭) খেয়াল রাখবেন, কমোড ব্যবহারের পর তার ঢাকনা চাপা দিয়ে তবে ফ্লাশ করবেন। এতে বাতাসে জীবাণু কম ছড়াবে। শৌচাগার ব্যবহারের সময়ে মুখে মাস্ক পরে থাকতে পারলে বেশি ভাল হয়।

৮) হাত ধোয়ার পরেও বাইরে বেরিয়ে বা গাড়িতে ওঠার পর আরও একবার স্যানিটাইজ়ার হাতে স্প্রে করে নিলে সুরক্ষিত থাকবেন।

Advertisement
আরও পড়ুন