Teeth Care Tips

উৎসব, খানাপিনায় মশগুল হয়ে দাঁতের কথা ভুলতে বসেছেন? ৩ অভ্যাস না এড়ালেই বিপদ

দাঁত যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, তেমনই দাঁত চোখের জলের কারণও হতে পারে। এ ব্যথা কী যে ব্যথা, যিনি ভোগ করেছেন তিনিই জানেন। পার্টি, উৎসব উপভোগ করতে গিয়ে নীরবে দাঁতের ক্ষতি করে ফেলছেন কি?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৩২
কিয়ারা আডবাণীর মতো সুন্দর হাসি পেতে হলে কোন ভুল এড়াবেন?

কিয়ারা আডবাণীর মতো সুন্দর হাসি পেতে হলে কোন ভুল এড়াবেন? ছবি: সংগৃহীত।

কথায় আছে, সুন্দর হাসির জয় সর্বত্র। কিন্তু হাসতে গেলেই যদি ক্ষয়ে যাওয়া হলদে দাঁত বেরিয়ে আসে, তা হলে খুবই সমস্যা। তার উপর দাঁতে ব্যথা ‌একবার শুরু হলে, হাসি কান্নায় পরিণত হতে এক মুহূর্তও সময় লাগবে না। সে কারণেই বলা হয়, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝা উচিত।

Advertisement

নতুন বছরকে অভ্যর্থনা জানাতে উৎসবে মেতেছেন, কিন্তু সেই আনন্দ করতে গিয়েই নীরবে ক্ষতি হচ্ছে না তো দাঁতের? ৩ অভ্যাস নীরবেই দাঁতের ক্ষয়ের কারণ হতে পারে। আর দাঁতের অযত্ন মানেই দাঁতের ব্যথাকে আহ্বান করা। তা যদি না চান, তা হলে সতর্ক হোন এখনই।

কার্বন পানীয়, চিনি: ককটেল, মকটেল, ঠান্ডা পানীয়, শরবত— পার্টি হোক বা দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ায় এমন পানীয় থাকবেই। ছোটরাও কার্বনযুক্ত পানীয় খুব পছন্দ করে। বিপদ লুকিয়ে এই সবের আড়ালেই। দুপুরে বা রাতে খাওয়া শেষ করে কুলকুচি করে মুখ ধোয়ার অভ্যাস থাকলেও ঠান্ডা পানীয়, মকটেল, ককটেল খেলে কে আর মুখ ধোয়ার কথা ভাবেন? এমনকী শিশুরাও মুখ ধোয় না। ঠান্ডা পানীয়, অ্যাসিড জাতীয় চিনি দেওয়া পানীয় দাঁতের গায়ে লেগে থাকা মানেই দাঁতের ক্ষয়। নিয়মিত এই অভ্যাসে দাঁতের উপরের স্তর বা এনামেল ক্ষয়ে যেতে পারে। দাঁতের সাদা ভাবও উধাও হতে পারে। দাঁতে ক্যাভিটি হতে পারে। যার ফলাফল যন্ত্রণা। পানীয় খেলেও মুখ ধোয়া খুব জরুরি।

বার বার চা-কফি: অনেকেরই বার বার চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে। তার পরে কেউই খুব একটা মুখ ধোন না। সমস্যা তা থেকেও হতে পারে। চা-কফিতে থাকা দুধ এবং চিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁতে এবং মাড়িতে লেগে থাকে। তা থেকে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। তাই এই ব্যাপারে শুরুতেই সতর্ক হওয়া দরকার। একই সঙ্গে কেক, পেস্ট্রি, অতিরিক্ত চিনি দেওয়া খাবারের মাত্রা না কমালেও দাঁতের ক্ষতি হবে।

দাঁত সাদা করার পন্থা: উৎসবের সাজগোজের পর যদি হাসলে হলদেটে দাঁত দেখা যায়, তাহলে সৌন্দর্যই মাটি। তাই কি দাঁত সাদা করার মাজন দিয়ে দিন-রাত দাঁত মাজছেন? বিজ্ঞাপনী ফাঁদে পড়ে কেউ কেউ দাঁতে হলদে ছোপ দেখলেই দাঁত সাদা করার মাজন কেনেন, কেউ আবার ঘরোয়া টোটকা মেনে বেকিং সোডা, লেবুর রস এটা-ওটা প্রয়োগ করেন। এতে দাঁত সাদা হয় ঠিকই, কিন্তু কখনও কখনও রাসায়নিক বা অতিরিক্ত অ্যাসিডের প্রভাবে দাঁতের উপরের স্তর দ্রুত ক্ষয়ে যেতে পারে, আদতে যা দাঁতের ক্ষতি করে। তাই দাঁত সাদা থাকতে থাকতেই যত্ন নেওয়া জরুরি।

এ ছাড়াও জল কম খাওয়া, ভুল ব্রাশের ব্যবহার দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় ছোটরাও বড়দের মতো বড় ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজছে। কিন্তু দন্তচিকিৎসকেরা বলছেন, ব্রাশ মোটেই হেলাফেলার বিষয় নয়। বরং মুখের মাপ অনুযায়ী ব্রাশ বাছাই জরুরি। আর ব্রাশের ব্রিসলগুলি হওয়া দরকার নরম, যেন মাজলে দাঁতে বা পাটিতে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। দাঁত মাজা মানে যেমন তেমন করে গায়ের জোরে ঘষা নয়।

Advertisement
আরও পড়ুন