বয়সকালেও তারুণ্য অটুট রাখবে প্লায়োমেট্রিক ব্যায়াম, কী ভাবে করতে হবে? গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। এখনও একই রকম তন্বী চেহারা। হৃতিক রোশনের প্রাক্তন স্ত্রী সুজ়ান খানের সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে বরাবরই চর্চা হয়। সম্প্রতি মাকে হারিয়েছেন সুজ়ান। তবে এর বেশ কিছু দিন আগে নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে শরীরচর্চার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন তিনি। সেখানে দেখিয়েছিলেন ঠিক কেমন ভাবে শরীরচর্চা করে এখনও যৌবনের মতোই ফিটনেস ধরে রাখা সম্ভব। সুজ়ান জানিয়েছেন, বয়স যতই হোক না কেন, ভিতর থেকে তারুণ্যের দীপ্তি ধরে রাখতে শারীরিক কসরতের কোনও বিকল্প নেই। শুধু অ্যান্টি-এজ়িং ক্রিম মেখে আর ডায়েট করে সেই জেল্লা পাওয়া সম্ভব নয়। ফিটনেস যদি বৃদ্ধি করতেই হয়, তা হলে ব্যায়ামই একমাত্র পথ। আর তার জন্য প্লায়োমেট্রিক ব্যায়ামই সেরা।
সুজ়ানকে দেখা গিয়েছে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে বক্স জাম্প করতে। এটি এক ধরনের প্লায়োমেট্রিক ব্যায়াম যা শরীরের প্রতিটি পেশির শক্তি বৃদ্ধি করে। সুঠাম ও পেশিবহুল শরীর পেতেও এই ব্যায়াম অভ্যাস করেন অনেকে।
কী এই প্লায়োমেট্রিক?
পেটের মেদ কমাতে ও পায়ের পেশির শক্তি বৃদ্ধি করতে এই ব্যায়ামটি করা হয়। এটি এক ধরনের স্ট্রেংদেনিং এক্সারসাইজ়। প্লায়ো শব্দটির অর্থ বেশি এবং মেট্রিক শব্দটির অর্থ পদক্ষেপ। ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, টেনিস খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে এই ব্যায়াম। মূলত শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম। এর নিয়মিত অনুশীলনের খুব কম সময়ের মধ্যে ‘টোনড বডি’ পাওয়া যায়।
সুজ়ান যে ব্যায়ামটি করছেন, তার নাম বক্স জাম্প। এটি করার জন্য বড় বক্স নিতে হবে। বক্সের সামনে প্রায় ৬ ইঞ্চি বা ১ ফুট দূরত্বে দাঁড়াতে হবে। ওই অবস্থানে অর্ধেকটা বসার মতো ভঙ্গি বা স্কোয়াট করতে হবে। এ বার সেই অবস্থা থেকেই লাফিয়ে বক্সের উপর উঠতে হবে, কিছু ক্ষণ থেকে আবার উল্টো দিকে লাফিয়ে নামতে হবে। তবে লাফ না দিয়ে ধীরেও নামা যেতে পারে। সবটাই নির্ভর করবে শারীরিক সক্ষমতার উপরে।
সতর্কতা
ব্যায়ামটি নিজে থেকে অভ্যাস করা উচিত হবে না। কী ধরনের বক্স ব্যবহার করবেন, তার উচ্চতা কেমন হবে তা একজন ফিটনেস প্রশিক্ষকই ঠিক করে দেবেন। শরীরের ক্ষমতা এবং সীমাবদ্ধতা বুঝেই ব্যায়ামটি করা উচিত।
খেয়াল রাখতে হবে, সকলের জন্য প্লায়োমেট্রিক নয়। রক্তচাপ বেশি হলে, হার্টের অসুখ থাকলে, ডায়াবিটিস বা নার্ভের রোগের ওষুধ খেলে বক্স-প্লায়োমেট্রিক করা যাবে না। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা থাকলেও ব্যায়ামটি করা উচিত নয়। খুব ভারী চেহারা নিয়ে প্লায়োমেট্রিক করতে গেলে আঘাত লাগার আশঙ্কা থাকবে। তাই শরীর বুঝেই ব্যায়ামটি করতে হবে। নতুন করে অনুশীলন যাঁরা শুরু করেছেন, তাঁরা শুরুতেই বক্স জাম্প করতে যাবেন না। আগে সহজ ব্যায়াম যেমন জাম্পিং জ্যাক, জাম্পিং সাইডস করতে পারেন। এতে পা দু’টিকে কাছে নিয়ে এক বার বাঁ দিকে লাফান, এক বার ডান দিকে। আবার ওয়ান লেগ হপিং করতে পারেন। ছোট বেলায় যেমন এক পায়ে লাফিয়ে কিতকিত খেলতেন, অনেকটা সে রকম। এতে পায়ের পেশির সক্রিয়তা বাড়ে, মেদও কমে।