Workout Mistakes

ব্যায়ামের সময়ে প্রায়শই তিনটি ভুল করে থাকেন? সতর্ক হোন, বিঘ্ন ঘটছে হরমোনের ভারসাম্যে!

অভিনেত্রী তমান্না ভাটিয়ার ফিটনেস প্রশিক্ষক সিদ্ধার্থ সিংহ তিনটি ভুলের কথা জানালেন সম্প্রতি, যা শরীরের স্বাভাবিক হরমোনচক্রে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৪৫
ব্যায়ামের সাধারণ ভুল।

ব্যায়ামের সাধারণ ভুল। ছবি: সংগৃহীত।

ঘাম ঝরিয়ে ব্যায়াম করছেন, অথচ লাভ হচ্ছে না। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকছে না, স্বাস্থ্যও ফিরছে না। আসলে নিয়মিত ব্যায়াম করাই যথেষ্ট নয়, বরং কী ভাবে, কখন ও কতটা ব্যায়াম করছেন—সেটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সামান্য কয়েকটি ভুলেই শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অভিনেত্রী তমান্না ভাটিয়ার ফিটনেস প্রশিক্ষক সিদ্ধার্থ সিংহ সেই সম্পর্কেই বিস্তারিত জানালেন সম্প্রতি। অনুশীলনের সময়ে যে সাধারণ ভুলগুলি লক্ষ করা যায়, তা শরীরের স্বাভাবিক হরমোনচক্রে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।

Advertisement

এমনই তিনটি ভুলের কথা জানালেন ফিটনেস প্রশিক্ষক—

১. খালিপেটে কার্ডিয়ো: অনেকে মনে করেন, সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করলে দ্রুত ফল পাওয়া যাবে। কিন্তু সিদ্ধার্থের দাবি, এতে শরীরে উল্টো প্রভাব পড়ে। একেই তখন শরীর উপবাসে রয়েছে, তার উপর অতিরিক্ত পরিশ্রম শুরু করলে চাপ বেড়ে যায়। এর ফলে কর্টিসল অর্থাৎ স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যেতে থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে এর মাত্রা বেশি থাকলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই সকালে অনুশীলনের আগে হালকা কিছু খেয়ে নেওয়া উচিত। তাতে শরীর প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ পায়।

ব্যায়ামের ভুলে স্বাস্থ্যে প্রভাব।

ব্যায়ামের ভুলে স্বাস্থ্যে প্রভাব। ছবি: সংগৃহীত।

২. হাই-ইন্টেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং অনুশীলন: অল্প সময়ের মধ্যে প্রচণ্ড গতির অনুশীলনকেই বলা হয় হাই-ইন্টেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং। এটি শরীরকে সচল রাখে, কিন্তু অতিরিক্ত হলেই সমস্যা শুরু। অতিরিক্ত কঠোর অনুশীলনে শরীর চাপে পড়ে এবং প্রোজেস্টেরন-সহ বেশ কিছু জরুরি হরমোনের উৎপাদন কমে যেতে পারে। এর ফলে ঘুমের ব্যাঘাত, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ক্লান্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে। মেজাজের হেরফেরও হতে থাকে। তাই ভারসাম্য রেখে ব্যায়াম করা উচিত।

৩. বেশি রাতে ব্যায়াম: সন্ধ্যার পর থেকে শরীর বিশ্রামের জন্য প্রস্তুতি নেয়। তখন ব্যায়াম শুরু করলে শরীর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। এতে ঘুমের ছন্দ নষ্ট হয়, আর হরমোনের ক্রিয়াকলাপেও গোলমাল দেখা দিতে পারে। তাই নৈশভোজের অন্তত তিন ঘণ্টা আগে ব্যায়াম শেষ করুন। ঘুমের আগে হালকা স্ট্রেচিং বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে, যা শরীর ও মনকে শান্ত করবে।

শরীরের হরমোন যেমন নিঃশব্দে শরীরের সমস্ত কাজকর্মের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে, ঠিক তেমনই ব্যায়ামের সঠিক নিয়মও সেই ভারসাম্যকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত অনুশীলন করলেও শরীর ও মনকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। শরীরের কথা শুনতে হবে। তবেই ব্যায়ামও উপকারে লাগবে।

Advertisement
আরও পড়ুন