তমন্না ভাটিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরচর্চার জন্য জিমে যাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু সেখানে গিয়ে আদৌ লাভ হচ্ছে কি? ভুঁড়ি কমাতে এক মাস নিয়ম করে রোজ জিমে যাওয়া শুরু করেছেন, ভাল মতো পরিশ্রমও করছেন। অথচ মাসখানেক হয়ে গেলেও ওজনে কোনও রকম হেরফের চোখে পড়ছে না। যে কে সেই! বেশি দিন এমনটা চলতে থাকলে এক সময়ে শরীরচর্চার ব্যাপারে আপনি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। রোজ ঠিক মতো নিয়ম মেনেই শরীরচর্চা করছেন, তা হলে এমন হচ্ছে কেন, প্রশ্ন আসতেই পারে মনে। এ ক্ষেত্রে কোথায় গলদ থাকছে, বুঝবেন কী করে? অভিনেত্রী তমন্না ভাটিয়ার ফিটনেস প্রশিক্ষক সিদ্ধার্থ সিংহ সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে বলেন, জিমে গিয়ে মহিলাদের তিনটি ভুল এড়িয়ে চলা জরুরি।
ফিটনেস প্রশিক্ষক সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, বেশির ভাগ মহিলাই জিমে গিয়ে অজান্তেই তিনটি ভুল করে ফেলেন। ফিট থাকতে গেলে কোন ভুলগুলি মহিলারা এড়িয়ে চলবেন, সতর্ক করলেন তিনি।
প্রতি সপ্তাহে শরীরচর্চার ধরন বদলে ফেলা:
সিদ্ধার্থের মতে, অনেক সময়েই দেখা যায় মহিলারা সপ্তাহখানেক এক রকম শরীরচর্চা করার পর যদি আয়নায় তেমন বদল দেখতে না পান, তা হলে পরবর্তী সপ্তাহে কোনও রকম পরমর্শ ছাড়াই তাঁরা শরীরচর্চার ধরন বদলে ফেলেন। অন্য ব্যায়াম করতে শুরু করেন। শরীরের উপর প্রভাব ফেলতে যে কোনও ব্যায়ামের বেশ কিছু দিন সময় লাগে। অধৈর্য হলে কিন্তু চলবে না। সপ্তাহখানেক পরে শরীরে কোনও বদল না এলেও ওই একই ব্যায়াম করে যেতে হবে। তবেই মিলবে ফল।
অন্যদের অনুকরণ:
অনেক মহিলাই জিমে অন্য কাউকে ভাল ফল পেতে দেখলে তাঁর রুটিন মেনে শরীরচর্চা করতে শুরু করেন। এই ভুল না করাই ভাল। প্রত্যেকের শরীরের ধরন আলাদা। শরীরভেদে ব্যায়ামের ধরনও আলাদা হওয়া স্বাভাবিক। কোনও ৫টা ব্যায়াম করে কারও ৫ কেজি ওজন ঝরার অর্থ এই নয় যে, সেই শরীরচর্চা আপনার দেহেও একই ভাবে কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে দক্ষ ফিটনেস প্রশিক্ষকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল, অন্যকে অনুকরণ করতে গেলে কোনও লাভ হবে না।
হালকা ওজন তোলা:
মহিলারা খুব বেশি ভারী ওজন তুললেই তাঁদের চেহারা পেশিবহুল হবে, এই ধারণা ভুল। আবার শরীর তন্বী রাখতে হালকা ওজন তুললেই লাভ হবে, এমনও কিন্তু নয়। দু’ তিন বার ওজন তোলার পর যদি দেখা যায় তা অনায়াসে তুলতে পারছেন, তা হলে বুঝতে হবে, ওজনটি তাঁর সামর্থ্যের তুলনায় হালকা। শরীরের পেশিগুলিকে কেবল নাড়াচাড়া করলেই হবে না, পেশিগুলি টানটান হলে তবেই হবে কাজ।