Dry Fruits Eating Tips

কখন এবং কতগুলি? শুকনো ফল খাওয়ার আগে সঠিক নিয়ম জেনে নিন, নয়তো উপকার মিলবে না

যখন-তখন শুকনো ফল খেলেই উপকার মিলবে না। কখন খাওয়া উচিত, কতখানি খাওয়া উচিত, কত ক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে ভাল, উপকারিতা কী কী, সব বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিলে ড্রাই ফ্রুটের সব গুণ শরীরে পৌঁছোবে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:০২
শুকনো ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম।

শুকনো ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।

ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, আয়রন, জ়িঙ্ক, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম— শুকনো ফলের পুষ্টি উপাদানের তালিকা নেহাত ছোট নয়। এগুলি খাওয়া যেমন সুবিধাজনক, অল্প খিদে মেটানোর জন্য উপযুক্ত, তেমনই উপকারী। তবে অনেক ক্ষেত্রেই খাওয়ার নিয়মে ভুল করে ফেলেন অনেকে। ফলে সম্পূর্ণ গুণ শরীরে পৌঁছোতে পারে না।

Advertisement

জয়পুরের পুষ্টিবিদ শ্বেতা ঠাকরার ৮টি শুকনো ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানাচ্ছেন। কখন খাওয়া উচিত, কতখানি খাওয়া উচিত, কত ক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে ভাল, উপকারিতা কী কী, সমস্ত তথ্য সম্বলিত একটি পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে।

কোন শুকনো ফল কী ভাবে খাওয়া উচিত?

আমন্ড বাদাম: ৮-১২ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া উচিত আমন্ড। সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে উঠে খালিপেটে ৫-৭টি বাদাম খেয়ে নিতে পারেন। এতে মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে, ত্বক জেল্লাদার হয় এবং খিদে মেটায়।

আখরোট: মস্তিষ্কের মতো দেখতে এই বাদাম একাধারে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি প্রদাহ কমাতে পারে এবং ঘুম আনার জন্যও সুখ্যাত। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পূর্ণ এই বাদাম ৪-৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে সকালে বা বিকেলে স্ন্যাক্‌স হিসেবে খাওয়া যায়। ১-২টির বেশি খাওয়ার দরকার নেই।

কাজু: ১-২ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন, আবার ইচ্ছে হলে কাজুর ক্ষেত্রে এই ধাপ এড়িয়েও যেতে পারেন। বেলায় বা সন্ধ্যার দিকে ১-২টি খেয়ে নিলেই হবে। কাজুর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরে গিয়ে মেজাজ ভাল করে এবং শক্তিবৃদ্ধি করে।

পেস্তা: পেস্তা বাদাম জলে ভিজিয়ে রাখার দরকার নেই। বেলার দিকে ১-২টি খেতে পারেন স্ন্যাক হিসেবে। পেস্তার প্রোটিন অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখার পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে।

পেস্তা বাদাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম।

পেস্তা বাদাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।

কিশমিশ: ৩-৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর ৬-৮টি কিশমিশ খেয়ে নিন সকাল সকাল। জলে ভেজানো কিশমিশ হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়ায়, ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।

খেজুর: শুকনো খেজুর দুধে ভিজিয়ে খেলে উপকার মিলবে। তবে সাধারণত খেজুর জলে ভেজানোর দরকার পড়ে না। শরীরচর্চার আগে ১-২টি খেজুর মুখে পুরে নিলে সঙ্গে সঙ্গে গায়ে জোর বাড়ে, পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং পেট ভাল থাকে।

আনজির: সকালের দিকে ৩-৪ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রেখে ১-২টি আনজির খেয়ে নিতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে আনজির। পাশাপাশি ক্যালশিয়ামের মাত্রা বাড়তে পারে শরীরে। তা ছাড়া হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এটি কার্যকরী।

ব্রাজ়িল নাট: জলে ভিজিয়ে রাখার দরকার পড়ে না ব্রাজ়িল নাট। ১টি বাদাম সকালের দিকে খেয়ে নিলে শরীরে সেলেনিয়ামের মাত্রা বাড়ে, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের জোগান বজায় থাকে। তা ছাড়া, থাইরয়েডের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্যও এটি উপকারী।

Advertisement
আরও পড়ুন