New Oral Antibiotic

যৌনরোগ নির্মূল করতে নতুন ওষুধ আসছে, গনোরিয়ার মতো অসুখও ৯০ শতাংশ সারছে বলে দাবি

কিছু কিছু যৌনরোগ বন্ধ্যত্বের আশঙ্কাও বাড়াতে পারে। সিফিলিস, গনোরিয়ার মতো অসুখের উপসর্গও মৃদু। ফলে তলে তলে রোগটি ছড়াতে থাকে। এই ধরনের যৌনরোগ সারতেও দেরি হয়, অনেক ক্ষেত্রেই নির্মূল হয় না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:০৪
UTI Medicine Gepotidacin effective against STI rectal gonorrhoea disease

যৌনরোগ নির্মূল করতে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আসছে। ছবি: ফ্রিপিক।

যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। নারী-পুরুষ, উভয়ের ক্ষেত্রেই যৌনরোগের আশঙ্কা সমান। রোগের উপসর্গ মারাত্মক পর্যায়ে চলে গেলে তা বন্ধ্যত্বের কারণও হয়ে উঠতে পারে। যেমন গনোরিয়া রোগ বাসা বাঁধলে গোড়ায় তেমন কোনও লক্ষণ প্রকাশ পায় না। ধীরে ধীরে এর উপসর্গগুলি প্রকট হতে শুরু করে। সিফিলিস, গনোরিয়ার মতো ‘সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেট ডিজ়িজ়’ বা যৌনরোগ নির্মূল করতে পারে এমন অ্যান্টিবায়োটিক আসতে চলেছে বাজারে।

Advertisement

জেপোটিডাসিন নামে এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক মূত্রনালির সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হত। এই ওষুধটির উপাদানেই বদল এনে নতুন ভাবে তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ব্রিটেনের হেল্‌থ সিকিউরিটি এজেন্সির গবেষকেরা জানিয়েছেন, ওষুধটি এখন যৌনরোগের চিকিৎসাতেও ব্যবহার করা যাবে। ‘দ্য ল্যানসেট’ মেডিক্যাল জার্নালে এই গবেষণার খবর প্রকাশিত হয়েছে। বলা হয়েছে, গবেষণাগারে ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করে সুফল পাওয়া গিয়েছে। গনোরিয়ায় আক্রান্ত পুরুষ ও মহিলাকে ওষুধটি খাইয়ে দেখা গিয়েছে, তাঁদের অসুখ প্রায় ৯৩ শতাংশ নির্মূল হয়েছে।

নিসেরিয়া গনোরি নামক ব্যাক্টেরিয়ার কারণে গনোরিয়া রোগ হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে ঋতুচক্রের মাঝামাঝি ‘স্পটিং’ দেখা দিতে পারে। প্রস্রাবের সময়ে জ্বালাভাব হয়। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে এই রোগ জরায়ু এবং ফ্যালোপিয়ন টিউবেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এবং ‘টিউবাল প্রেগন্যান্সি’র আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। রোগটি হলে মেয়েদের সন্তানধারনে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের জায়গায় জ্বালা অনুভব হয়। রোগ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে শুক্রাণু উৎপাদনও কমে যেতে পারে।

গনোরিয়া আছে, এমন ৬২৮ জন মহিলা ও পুরুষের উপর ওষুধটির পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষক কেটি সিঙ্কা। তিনি জানান, মাস কয়েক ওষুধটি খাইয়ে দেখা গিয়েছে, রোগ ৯০ শতাংশের বেশি সেরে গিয়েছে। পাশাপাশি, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়েছে। তবে পরীক্ষা চলছে। সব ঠিক থাকলে খুব তাড়াতাড়ি ওষুধটি বাজারে আনা হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন