Sweating At Night

রাতে শুয়ে গরম লাগে, জামাকাপড় ভিজে যায় ঘামে? কিসের লক্ষণ?

এমন কিছু শারীরিক সমস্যা বা অসুখ আছে, তা যদি তলে তলে বাসা বাঁধে, তা হলে তার পূর্বলক্ষণ হতে পারে— অতিরিক্ত ক্লান্তি, দুর্বলতা, শারীরিক অস্বস্তি এবং রাতে শুয়ে ঘাম।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫ ১২:৪১
Weaking up soaked in sweat during the night, what is the reason behind it

আরামদায়ক পরিবেশে শুয়েও দরদর করে ঘাম হলে সাবধান। ছবি: ফ্রিপিক।

রাতে শুয়ে ঘাম হয় অনেকের। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গিয়ে যদি দেখেন ঘামে জামাকাপড় ভিজে গিয়েছে, তা হলে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে। গরমের সময়ে ঘাম হবেই, কিন্তু রাতে যখন তাপমাত্রা নামছে, তখনও যদি দরদর করে ঘাম হতে থাকে, তবে লক্ষণ মোটেই সুবিধার নয়। তবে আতঙ্কের কারণ নেই। কারণ রাতে শুয়ে ঘাম মানেই যে তা হৃদ্‌রোগের লক্ষণ, তেমন নয়। শরীরের তাপমাত্রা আচমকা কেন বাড়ছে, তারও কিছু কারণ আছে। এমন কিছু শারীরিক সমস্যা বা অসুখ আছে, তা যদি তলে তলে বাসা বাঁধে, তা হলে তার পূর্বলক্ষণ হতে পারে— অতিরিক্ত ক্লান্তি, দুর্বলতা, শারীরিক অস্বস্তি এবং রাতে শুয়ে ঘাম।

Advertisement

কখন সতর্ক হবেন?

মদ্যপান করে শোয়ার পরে ঘাম

রাতে শোয়ার আগে চা বা কফি অথবা মদ্যপান করলে, শোয়ার পরে ঘাম হতে পারে। ক্যাফিন হরমোন ক্ষরণে বিঘ্ন ঘটায়, ফলে শরীরের প্রদাহ আচমকা বেড়ে যেতে পারে। দিনের পর দিন এমন হতে থাকলে তা লিভারের রোগের পূর্বলক্ষণ হতে পারে।

অবসাদ হচ্ছে না তো?

রাতে শুয়ে দুশ্চিন্তা,উৎকণ্ঠাও শরীরের গ্রন্থিগুলিকে সক্রিয় করে তোলে। অতিরিক্ত উদ্বেগের কারণেও এমন হতে পারে। তলে তলে যদি অবসাদ বাসা বাঁধে, তার থেকেও শরীরের তাপমাত্রায় বদল আসতে পারে। তাই মানসিক চাপ যাতে না বাড়ে, সে বিষয়ে সাবধান হতে হবে।

হরমোনের গোলমাল

রক্তে থাইরয়েড গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোনের পরিমাণ যদি বেড়ে যায়, তখন তাকে বলে ‘হাইপারথাইরয়েডিজ়ম’ । সে ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। রাতে শুয়েও ঘাম হতে পারে। সে ক্ষেত্রে থাইরয়েড হচ্ছে কি না, তার পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

বিশেষ কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমন হতে পারে। স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ, অবসাদ কমানোর ওষুধ, মুঠো মুঠো ব্যথানাশক ওষুধ খেলে বা হরমোন থেরাপি করালে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমন হতে পারে।

ক্যানসারের লক্ষণ?

রক্তের ক্যানসার বা লিউকেমিয়া রোগে আক্রান্ত হলে রক্তের মধ্যে থাকা শ্বেত রক্তকণিকাগুলির অনিয়ন্ত্রিত গঠন ও বিস্তার হতে থাকে। সেই সময়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয় শরীরের ভিতরে। লসিকাগ্রন্থি অস্বাভাবিক রকম ফুলে যায়। যকৃৎ ও প্লীহার আকার বাড়তে থাকে। ফলে বিভিন্ন লক্ষণ ফুটে ওঠে শরীরে। রক্তাল্পতা দেখা দিতে পারে, রাতে শুয়ে ঘামও হয়। তাই যদি দিনের পর দিন এমন উপসর্গ দেখা দিতে থাকে, তা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন