দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের এক বধূকে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। — প্রতীকী চিত্র।
বিয়ে হয়েছিল গত এপ্রিলে। বিয়ের আট মাসের মাথায় রহস্যমৃত্যু দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা বধূর। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার চলত ওই বধূর উপর। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ পরিবারের। সেই মর্মে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বারুইপুর থানার কাটাখাল এলাকার বাসিন্দা শুভ্রা সর্দারের সঙ্গে গত এপ্রিলে বিয়ে হয় নরেন্দ্রপুর থানার কেলেগোড় এলাকার বাসিন্দা রানা সর্দারের। সূত্রের খবর, সমাজমাধ্যমে দু’জনের আলাপ হয়েছিল। সেই থেকেই প্রেম এবং পরে বিয়ে করেন দু’জনে। তবে দম্পতির মধ্যে সম্প্রতি মনোমালিন্য চলছিল বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ, স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন স্বামী। সেই সন্দেহের বশেই শুভ্রার উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার চলত বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের।
এরই মধ্যে গত ১৭ ডিসেম্বর শুভ্রাকে বাপেরবাড়িতে নিয়ে আসেন তাঁর মা মঙ্গলা সর্দার। কিন্তু অভিযোগ, গত রবিবার মৃতের শ্বশুর ভদ্রেশ্বর সর্দার নরেন্দ্রপুরের বাড়িতে যান। তিনি শুভ্রাকে একপ্রকার জোর করেই শ্বশুরবাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পরে, সোমবার প্রতিবেশীর ফোনে শুভ্রার মৃত্যুসংবাদ পান তাঁর বাবা-মা। এর পরেই তাঁদের সন্দেহ হয়, শুভ্রাকে খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতের বাবা মনা সর্দার। মৃতের স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শুভ্রার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি (ক্রাইম) ফয়জ়ল বিন আহমেদ জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।