High Uric Acid

ইউরিক অ্যাসিড থেকেও হতে পারে ডায়াবিটিস, কিডনির অসুখ! রোগ বাড়লে কী কী সমস্যা দেখা দেবে?

বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন। গাঁটের ব্যথায় শয্যাশায়ী হয়ে দিনও কাটাচ্ছেন অনেকে। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনিও বিকল হতে শুরু করবে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৫ ১৯:২৮
ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কী কী রোগ হবে?

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কী কী রোগ হবে? ছবি: ফ্রিপিক।

ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়েছে? তা হলে সাবধান হয়ে যাওয়াই ভাল। এই রোগটি ধরা পড়লে সাধের অনেক খাবারই জীবন থেকে বর্জন করতে হয়। মুসুর ডাল তো বটেই, রবিবারের দুপুরে জমিয়ে পাঁঠার মাংস খাওয়াও বাদ হয়ের যায় জীবন থেকে। ওষুধ খেতেই হয় নিয়মমতো, না খেলেই অনিবার্য গাঁটের ব্যথা। বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন। গাঁটের ব্যথায় শয্যাশায়ী হয়ে দিনও কাটাচ্ছেন অনেকে। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনিও বিকল হতে শুরু করবে।

Advertisement

অনেকেই জানেন না, ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে থাকলে তার সঙ্গে আরও কিছু রোগও তলে তলে বাসা বাঁধতে শুরু করবে। কী কী সেই রোগ জেনে নিন।

আর্থ্রাইটিসের ব্যথা

আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আর্থ্রারাইটিস অ্যান্ড মাস্কিউলোস্কেলিটাল ডিজ়িজ় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাউট বা গেঁটে বাত তখনই হয়, যখন শরীরের বিভিন্ন অংশে ইউরিক অ্যাসিড জমা হতে থাকে। এর থেকে অস্থিসন্ধিগুলিতে প্রদাহ শুরু হয়। গাঁটে গাঁটে ব্যথা হল, শরীরের গ্রন্থিগুলি ফুলে ওঠে। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে না রাখলে, বাতের ব্যথা জীবন দুর্বিষহ করে দেবে।

কিডনিতে পাথর

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে তা থেকে কিডনিতে পাথর জমতে পারে। তলপেটে ব্যথা, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত আসতে পারে। প্রস্রাবের সময়ে জ্বালাযন্ত্রণা হবে। শরীরে এই রোগ ধরা পড়লে খেয়াল রাখতে হবে, এমন খাবার খাওয়া চলবে না, যাতে ওজন বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত জল তো খেতেই হয়। আর নিয়ম করে ওষুধ খেয়ে যেতে হয়।

হাইপারটেনশন

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা অনেকটা বেড়ে গেল উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। যা থেকে কিডনি অচল হয়ে যেতে পারে। শরীরের রক্তজালিকাগুলি নষ্ট হতে পারে। রক্ত চলাচলে বাধা আসতে পারে।

টাইপ ২ ডায়াবিটিস

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে তা ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণে তারতম্য ঘটাতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড যাঁদের অনিয়ন্ত্রিত, তাঁদের টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ে।

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী করবেন?

১. বেশি করে জল খান। এ ধরনের অসুখে শরীর আর্দ্র রাখা দরকার।

২. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। এতে শরীর সুস্থ থাকবে।

৩. বেরিজাতীয় ফল বেশি করে খান। ব্লুবেরি, স্ট্রবেরির দিয়ে শরবত বানিয়ে নিতে পারেন। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’।

৪. অফিস হোক বা বাড়িতে, অনেকেই ক্লান্তি কাটাতে কফির কাপে চুমুক দেন। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে কিন্তু কফি খাওয়ার উপর রাশ টানতে হবে।

৫. মদ্যপানের অভ্যাস আছে কি? ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে এই অভ্যাস ছাড়তেই হবে। নিয়মিত মদ্যপান করলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে বাধ্য।

Advertisement
আরও পড়ুন