Diabetes Patch

ডায়াবিটিস সামাল দিতে এল প্যাচ, বার বার আঙুলে সুচ ফোটাতে হবে না, ছোটদের জন্যও কার্যকর

রক্তে শর্করা কখন বাড়ছে, কখন কমছে, তার খুঁটিনাটি তথ্য দেবে ডায়াবিটিস প্যাচ। আঙুলে সুচ ফোটানোর প্রয়োজন হবে না। কম যন্ত্রণাদায়ক পদ্ধতিতে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে এই যন্ত্র।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৫ ১৪:৫১
What is Diabetes patch and what are the benefits of it

ডায়াবেটিক প্যাচ কী, রোগীর কী কী সুবিধা হবে? ফাইল চিত্র।

রক্তে শর্করার ওঠানামা জানতে স্মার্টওয়াচ, মোবাইল অ্যাপ অনেক কিছুই চলে এসেছে। এ বার এল ডায়াবিটিস প্যাচ। হাতে বা পেটে লাগিয়ে রাখলেই, গোটা দিনের জন্য নিশ্চিন্ত। কোন সময়ে শর্করার মাত্রা উঠছে, কখন নামছে, তার ‘রিয়্যাল-টাইম ডেটা’ দেবে ওই যন্ত্র। ডায়াবিটিস প্যাচ শরীরে লাগানো থাকলে, আঙুলে সুচ ফোটানোর প্রয়োজন হবে না। ওই যন্ত্রই ডায়াবিটিস সামাল দিতে পারবে দায়িত্ব নিয়ে।

Advertisement

এটি আসলে গ্লুকোজ় মনিটরিং ডিভাইস। এ ধরনের প্যাচ, চিকিৎসাবিজ্ঞানে যার নাম কন্টিনিউয়াস গ্লুকোজ় মনিটরিং (সিজিএম)। ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। বিশেষ করে ছোটদের ডায়াবিটিস ধরা পড়লে এই প্যাচ কার্যকর হতে পারে অভিভাবকদের জন্য। বারে বারে আঙুলে সুচ ফুটিয়ে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করার প্রয়োজন হবে না। সাধারণত এই প্যাচ লাগানোর পরে মোবাইলে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে। প্যাচের কাছাকাছি মোবাইল আনলেই অ্যাপ সেই সময়ের রক্তে শর্করার পরিমাপ দেখিয়ে দেবে। এ ভাবে সারা দিনে বিভিন্ন সময়ে শর্করার মাত্রার তালিকা তৈরি করা হয়। সেই চার্ট দেখে চিকিৎসক বুঝতে পারবেন, কখন শর্করার মাত্রা বাড়ছে, কখন কমছে। সেই বুঝে ওষুধ দেওয়া, ডোজ় স্থির করা এবং ওষুধের মধ্যে প্রয়োজনীয় রদবদল করা সম্ভব হবে।

ডায়াবিটিস প্যাচ নিয়ে পাবমেড থেকে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে গবেষকেরা জানিয়েছেন, ডায়াবিটিস প্যাচ যথাযথ ভাবে ব্যবহার করতে পারলে তার নানা সুবিধা রয়েছে। যেমন— রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য ফাস্টিং, পিপি সুগারের হিসেব রাখা, এইচবিএওয়ানসি পরীক্ষা ইত্যাদি ধীরে ধীরে পুরনো হয়ে যাচ্ছে। এই সব পরীক্ষায় সব সময়ে সঠিক ফলাফলও পাওয়া যায় না। ফাস্টিং-এর আগের দিন রোগী যদি খুব কম খেয়ে থাকেন, তা হলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমই দেখাবে। সেটি আদর্শ মাপ নয়। তাই সারা দিনে রক্তে শর্করার ওঠানামা কেমন, তা ঠিকমতো না জানলে ওষুধ বা ইনসুলিনের ডোজ় ঠিক করা সম্ভব নয়। প্যাচ সেই কাজটিই করবে।

টাইপ ওয়ান ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে ইনসুলিনের ডোজ় বদল করার প্রয়োজন হয়। প্যাচ থাকলে প্রতি ১৪ দিন অন্তর শর্করার মাপ দেখে চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। কোনও নির্দিষ্ট খাবার থেকে রক্তে শর্করা বাড়ছে কি না, তা-ও বুঝতে পারবেন রোগী। যে মুহূর্তে রোগী কিছু খেলেন, শর্করা বাড়ল, যন্ত্রটি তা ধরে ফেলবে। আরও একটি সুবিধা হল, এই প্যাচ সারা দিনই শরীরে লাগিয়ে রাখা যাবে। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

Advertisement
আরও পড়ুন