শীতকালে শরীরের স্বাভাবিক উষ্ণতা কমিয়ে দেয় কয়েকটি খাবার। ছবি: সংগৃহীত।
পারদ নামলেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ধাত রয়েছে? নাক দিয়ে ক্রমাগত জল পড়া, সর্দি বসে যাওয়া, গলা ব্যথা, কাশি বা মাথা ধরার মতো সমস্যা লেগেই থাকে শীতের সময়ে? তা হলে কয়েকটি খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে এই মরসুমে। সেগুলি ঠান্ডা লাগার সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। শীতকালে শরীরের স্বাভাবিক উষ্ণতা কমিয়ে শ্লেষ্মা বাড়ায় সেই খাবারগুলি।
বছরের শেষ সপ্তাহে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তাই পুষ্টিবিদেরা এই কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। নেটপ্রভাবী পুষ্টিবিদ, ছত্তীসগঢ় নিবাসী খুশি ছাবড়া সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে এমন ৪টি খাবারের কথা বলেছেন । তাঁর কথায়, ‘‘শীত পড়েছে আর আপনার সর্দি, কাশির সমস্যা বাড়ছে। আবহাওয়া পরিবর্তন, তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি খাবারও দায়ী হতে পারে। এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা হয়তো গ্রীষ্মকালে সুপারফুড হিসেবে চিহ্নিত হয়, কিন্তু শীতে সেগুলিই শরীরে শ্লেষ্মার উৎপাদন করে এবং শরীরের তাপমাত্রা অনেকটা কমিয়ে দেয়।’’
কোন ৪টি খাবার শীতে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল?
ছাতু
প্রাক়ৃতিক ভাবে
শরীর ঠান্ডা করার ক্ষমতা রয়েছে ছাতুর। গরমকালে অত্যন্ত উপকারী খাবার। কিন্তু
শীতকালে এই খাবার শরীরের উষ্ণতা কমিয়ে দেয়। ফলে বুকে ও গলায় শ্লেষ্মা জমার প্রবণতা
বাড়ে এবং সর্দি-কাশির সমস্যা তৈরি হয়।
ছাতু। ছবি: সংগৃহীত।
মৌরি ভেজানো জল
মৌরি স্বভাবগত ভাবেই শীতল। মৌরি ভিজিয়ে জল খেলে শরীর ঠান্ডা হয়। শীতের দিনে এই অভ্যাস এড়িয়ে যাওয়া ভাল, নয়তো নাকে ও গলায় শ্লেষ্মা জমতে পারে, যা সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
মৌরি ভেজানো জল। ছবি: সংগৃহীত।
দই এবং ফল একত্রে
ফল এবং দই একসঙ্গে খেলে শরীরে শ্লেষ্মা তৈরি হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। শীতকালে এই ধরনের খাবার গলা ও বুকে সর্দি জমতে সাহায্য করে।
দই ও ফল। ছবি: সংগৃহীত।
ডাবের জল
ডাবের জল শরীরকে ঠান্ডা রাখে। গরমকালে এটি খুব উপকারী হলেও শীতে বেশি পরিমাণে ডাবের জল খেলে শরীরের উষ্ণতা কমে যায়। এতে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়তে পারে। তাই ডাবের জল এই সময়ে বাদ দেওয়াই ভাল, অথবা খেলেও পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।
ডাবের জল। ছবি: সংগৃহীত।