Danger of Sitting Long

৯টা থেকে ৫টা টানা ডেস্কে বসে কাজে বাড়ছে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি? বিপদ এড়াতে কী কী করণীয়?

দেশের নানা জায়গায় প্রায় ৪৬ হাজার কর্মীর উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, যাঁরা সপ্তাহে ৬দিন ৯টা থেকে ৫টা একটানা বসে কাজ করেন, তাঁদের বেশির ভাগই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। কারও রক্তচাপ বেশি। কেউ অল্প বয়সেই ভুগছেন হার্টের অসুখে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:২৯
Why your desk job could be the biggest risk to your heart and liver

ডেস্কে বসে কাজও হবে, শরীরও সুস্থ থাকবে, জানুন উপায়। ছবি: ফ্রিপিক।

ডেস্কে একটানা বসে কাজে যে কেবল মেদ বাড়বে বা পিঠে-কোমরে যন্ত্রণা হবে, তা নয়। ব্যথাবেদনার থেকে অনেক বেশি বিপজ্জনক রোগ হতে পারে বলে দাবি গবেষকদের। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থের গবেষণা বলছে, ডেস্কে বসে একটানা যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বেশি। কেবল হার্ট নয়, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লিভারও। বেশি ভুগছেন ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সিরাই।

Advertisement

দেশের নানা জায়গায় প্রায় ৪৬ হাজার কর্মীর উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, যাঁরা সপ্তাহে ৬ দিন ৯টা থেকে ৫টা একটানা বসে কাজ করেন, তাঁদের বেশির ভাগই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। কারও রক্তচাপ বেশি। কেউ অল্প বয়সেই ভুগছেন হার্টের অসুখে। কারও ধরা পড়েছে থাইরয়েড। সকলেরই বয়স ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছরের মধ্যেই।

গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ডেস্কে বসে কাজে শারীরিক কসরত যেমন কম হয়, তেমনই চাপ পড়ে মস্তিষ্কের উপরেও। একটানা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকা, কাজ শেষ করার তাড়ায় উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি এবং শারীরিক কসরত কম হওয়া, সব মিলিয়ে হরমোন ক্ষরণে তারতম্য ঘটে। ফলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রাতেও হেরফের হয়ে যায়। সে কারণে নানা অসুখবিসুখ মাথাচাড়া দিতে থাকে।

সুস্থ থাকতে কী করণীয়?

শারীরিক সক্রিয়তা

১) প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর চেয়ার ছেড়ে উঠুন, অন্তত ২-৩ মিনিট হাঁটা জরুরি। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, পেশির সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে।

২) ‘মাইক্রো মুভমেন্ট’ প্রয়োজন। ফোন করার সময়ে হাঁটাহাঁটি করুন, লিফ্‌ট ব্যবহার কম করে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।

৩) ডেস্কে বসেই সাধারণ স্ট্রেচিং করুন, যেমন ঘাড় ঘোরানো, কাঁধের ব্যায়াম, চেয়ারে বসেই পায়ের পাতা ও গোড়ালি ওঠানামা করানো, কব্জি এক বার ঘড়ির কাঁটার দিকে ও এক বার বিপরীতে ঘোরানো।

সঠিক বসার ভঙ্গি

চেয়ারে সোজা হয়ে বসা জরুরি। পায়ের পাতা যেন মাটিতে থাকে। প্রয়োজনে পায়ের নীচে ফুটরেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।

চেয়ার এবং কম্পিউটার টেবিল এমন ভাবে রাখতে হবে, যাতে মনিটরের স্ক্রিন আপনার চোখের সমানে বা একটু নীচুতে থাকে। মাউস ধরার সময় কব্জি যেন টেবিলের সাপোর্ট পায়, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।

অফিস ডেস্কে রাখুন জেল বল। কাজের মাঝে পনেরো-বিশ সেকেন্ড ধরে চাপ দিন তাতে। এতে কব্জিতে ট্রায়াঙ্গুলার ফাইব্রোকার্টিলেজ কমপ্লেক্স (টিএফসিসি) হওয়ার ঝুঁকি কমবে।

একদৃষ্টে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। চোখ দুটো মাঝেমাঝে খোলা-বন্ধ করুন। স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে কাজ করুন। যাতে চোখের উপর বেশি চাপ না পড়ে।

নিয়মিত চোখের চেকআপ করান। ঘাড় গুঁজে কাজ না করাই ভাল। ঘাড় সোজা রেখে কাজ করার চেষ্টা করুন।

Advertisement
আরও পড়ুন