Daughter With Lover Kills Father

প্রেমে বাধা পেয়ে বাবাকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করল মেয়ে, প্রেমিকের হাতে ছুরি তুলে দিয়ে দাঁড়িয়ে দেখল পিতার খুন!

ভদোদরার জেলা পুলিশ সুপার সুশীল আগরওয়াল বলেন, ‘‘মৃতের মেয়ে তিন মাস ধরে বাবাকে খুনের ছক কষছিল। কারণ, তার প্রেমের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা। মেয়েকে শাস্তি দিতে ঘরে বন্ধ করে রাখতেন।’’

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:১৬

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কিশোরী মেয়ের প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক মানেননি বাবা। শাসন করেছিলেন মেয়েকে। রাগের চোটে বাবাকে ছক কষে খুন করলেন মেয়ে। সাহায্য নিলেন প্রেমিক এবং প্রেমিকের বন্ধুর। ১৭ বছরের মেয়ের কীর্তিতে শোরগোল গুজরাতের ভদোদরায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সপ্তাহ খানেক শানা চাবড়া নামে এক প্রৌ়ঢ়ের দেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাড়িতে। তদন্তে উঠে আসে শানাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে। শরীরে বেশ কয়েকটি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, খুনের আগে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল শানাকে।

তদন্তে উঠে আসে প্রৌঢ়ের খুনের নেপথ্যে তাঁর কিশোরী কন্যা-সহ তিন জন। ইতিমধ্যে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটিকে পাঠানো হয়েছে সরকারি হোমে।

পুলিশ জানিয়েছে, শানার ১৭ বছরের মেয়ে রঞ্জিত গজেন্দ্রভাই বাঘেলা নামে বছর চব্বিশের এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করছিল। সে কথা জানতে পারে রাগারাগি করেন শানা। কিন্তু বারণ শোনেনি মেয়ে। গত জুলাই মাসে প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালায় সে। পাল্টা থানায় অভিযোগ করেন বাবা। মেয়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করেন। কিছু দিন পরে ধরা পড়েন রঞ্জিত। পরে জামিনও পেয়ে যান।

জেল থেকে বেরিয়ে প্রেমিকার বাবাকে ‘জব্দ’ করতে নানা ফন্দি আঁটেন যুবক। প্রেমিকাও সঙ্গ দেন। শেষমেশ তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন প্রৌঢ়কে খুন করবেন। শুরু হয় পরিকল্পনা।

গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে খাওয়াদাওয়ার সময় বাবা-মাকে মাদক খাওয়ানোর চেষ্টা করে মেয়ে। কিন্তু ব্যর্থ হয়। এর পর খাবের ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় সে। ওই খাবার খেয়ে গভীর ঘুমে তলিয়ে যান শানা। তখন প্রেমিক এবং তাঁর এক বন্ধুকে বাড়িতে ডাকে মেয়েটি। দুই যুবক ছুরি নিয়ে এগিয়ে যায় প্রৌঢ়কে খুন করবে বলে। মেয়ে ঘরের জানলা দিয়ে দেখতে থাকে সেই দৃশ্য। বাবার মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে জানলায়। এমনকি, বাবার খুনের পর প্রেমিককে পালিয়ে যেতেও সাহায্য করেছে নাবালিকা। ভদোদরার জেলা পুলিশ সুপার সুশীল আগরওয়াল বলেন, ‘‘মৃতের মেয়ে তিন মাস ধরে বাবাকে খুনের ছক কষছিল। কারণ, তার প্রেমের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা। মেয়েকে শাস্তি দিতে ঘরে বন্ধ করে রাখতেন। আবার যাতে সে প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে না পারে সে জন্য সদা সতর্ক ছিলেন বাবা।’’

পুলিশ সুপার আরও জানান, মেয়েটির প্রেমিক একটি পাঁপড় কারখানায় কাজ করতেন। সেই যুবক এবং তাঁর বন্ধুকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন