Karnataka Rape

ডাকাতির পর ৮০ বছরের বৃদ্ধাকে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করে খুন! কর্নাটকের ঘটনায় তদন্তে পুলিশ, ধৃত এক

কোলার জেলার শ্রীনিবাসপুরা শহরে ঘটনাটি ঘটেছে। নির্যাতিতা কোলার জেলারই বাসিন্দা। সোমবার সন্ধ্যায় শ্রীনিবাসপুরার মুলবাগাল রোডের একটি মাঠের অদূরে একটি গ্যারাজে নির্যাতিতার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে তাঁকে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫ ১৬:১৬
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বাদ গেলেন না ৮০ বছরের বৃদ্ধাও। ডাকাতির পর ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুন করা হল তাঁকে। সোমবার কর্নাটকের কোলার জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে হাজির করিয়ে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

কোলার জেলার শ্রীনিবাসপুরা শহরে ঘটনাটি ঘটেছে। নির্যাতিতা কোলার জেলারই বাসিন্দা। সোমবার সন্ধ্যায় শ্রীনিবাসপুরার মুলবাগাল রোডের একটি মাঠের অদূরে একটি গ্যারাজে নির্যাতিতার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ৩৭ বছর বয়সি যুবক শ্রীনিবাসপুরার গফফর খান মহল্লার বাসিন্দা।

নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, নির্যাতিতা দিন দুয়েক আগে শ্রীনিবাসপুরার একটি গির্জায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তার পর দু’দিন শ্রীনিবাসপুরাতেই ছিলেন তিনি। ভ্রমণ শেষে সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির পথ ধরেন। অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওই বৃদ্ধা। তখনই অভিযুক্ত যুবক তাঁর পিছু নেন। তার পর সুযোগ বুঝে তাঁকে জোর করে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। অভিযোগ, পালানোর আগে মৃতার ব্যাগ থেকে ১৫,০০০ টাকাও ছিনিয়ে নেন অভিযুক্ত।

তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায়, অভিযুক্ত নির্যাতিতা বৃদ্ধাকে জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ যখন তদন্ত করছিল, তখন অভিযুক্ত কোনও প্রমাণ রয়ে গিয়েছে কি না দেখতে ঘটনাস্থলে ফিরে আসেন। সে সময়েই তড়িঘড়ি তাঁকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার মুখে অভিযুক্ত ধর্ষণ ও খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন বলে পুলিশের দাবি। অভিযুক্ত জানিয়েছেন, টাকা ও গয়না লুট করার জন্যই পরিকল্পনা করে এই অপরাধ করেছিলেন তিনি। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন