Suicide in Mohali

ব্যাঙ্কের শৌচাগারে মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী ব্যবসায়ী! কাঠগড়ায় তুললেন পুলিশ আধিকারিককে

মৃত ব্যবসায়ীর নাম রাজদীপ সিংহ (৪৫)। মোগার বাসিন্দা রাজদীপ সেক্টর-৮০-তে এক ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। অভিবাসন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৪২
A businessman killed himself in banks toilet, blames to a top police office

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ব্যাঙ্কের শৌচাগারে ঢুকে মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হলেন পঞ্জাবের মোহালির এক ব্যবসায়ী। কেন তিনি এই পথ বেছে নিলেন, তা নিজেই ভিডিয়োবার্তায় জানান। আত্মহত্যার নেপথ্যে এক পুলিশ অফিসারকে দায়ী করেছেন ওই ব্যবসায়ী।

Advertisement

মৃত ব্যবসায়ীর নাম রাজদীপ সিংহ (৪৫)। মোগার বাসিন্দা রাজদীপ সেক্টর-৮০-তে এক ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। অভিবাসন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েই আত্মহত্যা করেন তিনি। আত্মহত্যার আগের ভিডিয়োবার্তায় রাজদীপ দাবি করেন, তাঁর ফার্মে এক পুলিশ আধিকারিক বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু দিন কয়েক ধরেই তিনি তাঁর বিনিয়োগের টাকা ফেরত চেয়ে চাপ সৃষ্টি করছিলেন। টাকা না দিলে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের লোকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন রাজদীপ। শুধু ওই পুলিশ আধিকারিক নন, আরও চার জনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মৃতের বাবা পরমজিৎ সিংহ পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁর পুত্রের ব্যবসায়ী বন্ধু ঋষি রানা এবং অন্য এক জন এসে বাড়ি থেকে রাজদীপকে তুলে নিয়ে যান। তাঁকে গুরজোৎ সিংহ কল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজদীপের ব্যবসার আর এক অংশীদার ছিলেন গুরজোৎ। সেখানেই রাজদীপকে নানা ভাবে অপমান করা হয়। শুধু তা-ই নয়, জোর করে রাজদীপকে দিয়ে ব্যাঙ্কে লোন নিতে বাধ্য করেন সকলে।

ঋণের বোঝা এবং অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর পুত্র, দাবি পরমজিতের। আত্মহত্যার আগে রাজদীপ এক ভিডিয়োয় দাবি করেন, ‘‘আমি কখনও কোনও ভুল করিনি। তোমরা আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছ। আমি এত টাকা কোথা থেকে পাব? আমি আত্মহত্যা করছি। বিদায়।’’ এফআইআরে আরও বলা হয়েছে, আত্মহত্যার আগে রাজদীপ তাঁর স্ত্রীকে একটি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। সেই মেসেজে তিনি জানান, কোথায় তিনি ‘সুইসাইড নোট’ রেখে গিয়েছেন। পরে সেখান থেকে রাজদীপের লেখা একটি নোট উদ্ধার করা হয়। ওই নোটে রাজদীপ তাঁর পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং লিখেছেন, তাঁর কাছে আর কোনও বিকল্প পথ ছিল না।

Advertisement
আরও পড়ুন