Kishenji's Wife Kalpana Surrendered

কিষেণজির স্ত্রীর আত্মসমর্পণ! সিপিআই মাওবাদীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কল্পনার মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা

নিষিদ্ধ সংগঠনের দক্ষিণাঞ্চলের সেক্রেটারি ছিলেন পদ্মাবতী। তা ছাড়া সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন কিষেণজির স্ত্রী। শনিবার তেলঙ্গানার ডিজিপি-র উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৫২
Wife of Kishenji Surrendered

(বাঁ দিকে) কিষেণজি। স্ত্রী তথা মাওবাদী নেত্রী পদ্মাবতী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বাংলায় নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির স্ত্রী আত্মসমর্পণ করলেন তেলঙ্গানায়। পথৌলা পদ্মাবতী ওরফে সুজাতা ওরফে কল্পনাকে ১৯৮২ সাল থেকে পুলিশ খুঁজছিল।পদ্মাবতীর মাথার দাম ঘোষণা হয়েছিল ১ কোটি টাকা। নিষিদ্ধ সংগঠনের দক্ষিণাঞ্চলের সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। তা ছাড়া সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও ছিলেন কিষেণজির স্ত্রী।

Advertisement

তেলঙ্গানা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার ডিজিপি-র উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেছেন পদ্মাবতী।

তেলঙ্গানার জোগুলাম্বা গাদওয়াল জেলায় দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম পদ্মাবতীর। কিষেণজির সঙ্গে বিয়ে হয়। স্বামী-স্ত্রী, দু’জনেই ছিলেন মাওবাদীর শীর্ষস্থানীয় নেতা। ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর ঝাড়গ্রামের জামবনি থানার বুড়িশোল জঙ্গলে যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হন সিপিআই (মাওবাদী)-র পলিটব্যুরো সদস্য তথা সংগঠনের কেন্দ্রীয় মিলিটারি কমিশনের ইনচার্জ এম কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজি।

তবে পদ্মাবতী মাওবাদী সংগঠনে নাম লিখিয়েছিলেন তুতো ভাইদের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে। নিষিদ্ধ সংগঠনের কাজের জন্য ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা এবং ওড়িশায় তিনি ছিলেন ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায়। তাঁর মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। শনিবার পদ্মাবতীর আত্মসমর্পণকে ‘নৈতিক জয়’ হিসাবে দেখছে তেলঙ্গানা পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৪০৪ জন মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করেছেন।

পদ্মাবতীর পাশে দাঁড়িয়ে ‘ওয়ান্টেড’ সকল মাওবাদী নেতার উদ্দেশে তেলঙ্গানার ডিজিপি জিতেন্দ্রর বার্তা, ‘‘আপনারা অস্ত্র নামিয়ে নিন। আসুন, নিজেদের গ্রামে ফিরুন, রাজ্যের উন্নয়নে শামিল হোন।’’

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে কিষেণজির ভ্রাতৃবধূ আত্মসমর্পণ করেন মহারাষ্ট্রে। তাঁর স্বামী মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে বিবেক ওরফে সোনু নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। মহারাষ্ট্রের গঢ়ছিরৌলিতে বিদর্ভ অঞ্চলের ১০ জন ‘কমরেড’-এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন পিএলজিএ (পিপল্‌স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র কমান্ডার তথা দণ্ডকারণ্য জোনাল কমিটির নেত্রী বিমলা চন্দ সিদাম ওরফে তারাক্কা।

Advertisement
আরও পড়ুন