live-in relationship

‘একত্রবাসের অনুমতি নেই বিবাহিত মুসলিম ব্যক্তির! কারণ ইসলামে অনুমোদন নেই’, বলল আদালত

বিচারপতি এআর মাসুদি এবং বিচারপতি একে শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ ওই মামলার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ‘‘ইসলামের নীতিগুলি কখনওই বিবাহিত সম্পর্কের সময় লিভ-ইন সম্পর্কের অনুমতি দেয় না।’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৪ ০৯:৩৮
ইলাহাবাদ হাই কোর্ট।

ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। — ফাইল চিত্র।

এক জন বিবাহিত মুসলিম একত্রবাসের (লিভ-ইন সম্পর্ক) অধিকার দাবি করতে পারেন না, কারণ, এই ধরনের সম্পর্ক ইসলামে অনুমোদিত নয়। বুধবার এমনটাই জানাল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। একটি আন্তর্ধর্মীয় একত্রবাস সম্পর্ক সংক্রান্ত মামলার পর্যবেক্ষণে আদালত ওই মন্তব্য করেছে।

Advertisement

বিচারপতি এআর মাসুদি এবং বিচারপতি একে শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ ওই মামলার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ‘‘ইসলামের নীতিগুলি কখনওই বিবাহিত সম্পর্কের সময় লিভ-ইন সম্পর্কের অনুমতি দেয় না।’’ তবে সেই সঙ্গেই দুই বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যদি একত্রবাসকারী দম্পতি উভয়ই প্রাপ্তবয়স্ক হন এবং তাঁদের স্বামী বা স্ত্রী জীবিত না থাকেন, তখন তাঁরা ইচ্ছানুযায়ী সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন।

তবে সে ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বৈধতা এবং সামাজিক নৈতিকতার ভারসাম্য মেনে চলার ‘পরামর্শ’ও দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা স্নেহা দেবী তাঁর বাবা-মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মহম্মদ শাদাব খানের সঙ্গে একত্রবাস করছিলেন। স্নেহার অভিভাবকেরা বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ায় ওই দম্পতি নিরাপত্তা চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। ভারতীর সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদের (জীবন ও স্বাধীনতার সুরক্ষা) অধীনে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন তাঁরা।

এর পরে তদন্তে জানা যায়, ২০২০ সালে ফরিদা খাতুন নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন শাদাব। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, এই ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ কার্যকরী নয়। স্নেহা নিজেকে প্রাপ্তবয়স্কা দাবি করলেও তাঁকে পুলিশি নিরাপত্তায় অভিভাবকদের কাছে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

Advertisement
আরও পড়ুন