হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। —ফাইল চিত্র।
“আমি চাই অসমের পরিস্থিতি বিস্ফোরক হোক। তখনই প্রমাণ হবে হবে, ভূমিপুত্রদের হাতে অস্ত্র থাকলে তবেই তাঁরা বাঁচতে পারবেন,”— বক্তা ভারতের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! তিনি অসমের হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
সম্প্রতি অসম সরকার আদি অধিবাসী তথা ভূমিপুত্রদের সুরক্ষার যুক্তি দিয়ে তাঁদের সহজে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এমন পদক্ষেপ এক সশস্ত্র ও সহিংস সমাজের দিকে ঠেলে দেবে অসমকে। তারই জবাবে হিমন্ত বলেছেন, “আমি চাই অসমের পরিস্থিতি বিস্ফোরক হোক। কখনও তো পরিস্থিতি বিস্ফোরক হবেই। তখন হাতে লাইসেন্স থাকা অস্ত্র থাকলে তবেই অসমিয়ারা বাঁচতে পারবে।’’ এখানেই থামছেন না হিমন্ত। বলছেন, ‘‘আন্দোলন করে নয়, এমনসব ব্যবহারিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমেই অসমিয়াদের বেঁচে থাকা শিখতে হবে।’’
হিমন্ত আগেই বলেছিলেন, অসমিয়াদের ‘বাঁচাতে’ তিনি রাজ্যে বহিরাগত মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছেন। তিনি আরও বলেন, “আমার কিছু লক্ষ্য রয়েছে। সবচেয়ে কম সময়ে, সংবিধান মেনেই আমি সেই লক্ষ্য অর্জন করতে চাই।”
মেঘালয়ের ইউএসটিএম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোহবুবুল হক ঘোষণা করেছেন, তিনি উচ্ছেদ হওয়া এলাকার শিশু ও ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার দায়িত্ব নেবেন। হিমন্ত বলেন, ‘‘শিক্ষা নিয়ে আমি রাজনীতি করি না। মানবতার জন্য তিনি এই কাজ করতেই পারেন। কিন্তু যদি তিনি সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে এ কাজ করার কথা ভাবেন, তা হলে তাঁর তিন মাস আগের কথা মনে রাখা উচিত।’’ উল্লেখ্য, মোহবুবুলের সঙ্গে হিমন্তের দীর্ঘদিনের রেষারেষি। অবৈধ পরীক্ষা পদ্ধতি সংক্রান্ত মামলায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। তিন মাস আগেকার সেই ঘটনার কথাই হিমন্ত এ দিন তুলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ হিমন্ত গোলাঘাটের উরিয়ামঘাটে উচ্ছেদের জন্য চিহ্নিত পরবর্তী এলাকাটি পরিদর্শনে যান। উচ্ছেদের ঘোষণা হতেই সেখানকার বহু দখলদার নিজেরাই বাড়ি ভেঙে চলে যাচ্ছেন। পূর্ত (সড়ক) দফতরের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল ঘোষণা করেছেন, সরকার খুব শীঘ্রই শ্রীভূমি এবং বরাক উপত্যকার বিভিন্ন অংশে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে.