Telangana Tunnel Collapse

শেষ চেষ্টা! তেলঙ্গানার ধসে পড়া সুড়ঙ্গে শুরু দ্রুত কাদা সরানোর কাজ, পূর্বতন সরকারকে দুষলেন রেবন্ত!

শনিবার সন্ধ্যায় সুড়ঙ্গ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। এই ঘটনার জন্য রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকারকেই দায়ী করেছেন রেবন্ত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৫ ২২:০৬
তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ।

তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।

আট দিন পেরিয়ে গিয়েছে। তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গে এখনও আটকে রয়েছেন আট শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধারের জন্য দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন কয়েকশো উদ্ধারকারী। এ বার আরও গতি বাড়ানো হল উদ্ধারকাজের। রবিবার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই পুরোদমে শুরু হয়েছে সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে কাদামাটি সরানোর কাজ। সরঞ্জাম এবং কর্মীসংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। সোমবারের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কনভেয়র বেল্টটিও সারানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। ফলে আরও গতি বাড়বে উদ্ধারকাজের।

Advertisement

শনিবার সন্ধ্যায় সুড়ঙ্গ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। এই ঘটনার জন্য রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকারকেই দায়ী করেছেন রেবন্ত। তাঁর কথায়, ‘‘পূর্ববর্তী সরকার সেচ প্রকল্পে অযথা বিলম্ব না করলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না!’’ রেবন্তের বিরুদ্ধে গাফিলতি, দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে না যাওয়া— ইত্যাদি নানা পাল্টা অভিযোগে সরব হয়েছে বিআরএস এবং বিজেপি।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তেলঙ্গানার ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ শ্রীশৈলম সুড়ঙ্গের একাংশ আচমকাই ধসে পড়ে। সাড়ে ১৩ কিলোমিটার ভিতরে আটকে পড়েন আট শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধারের জন্য প্রায় ৫০০ জন উদ্ধারকারী নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। কিন্তু গত সাত দিন ধরেও শ্রমিকদের অবস্থান জানা সম্ভব হয়নি। এমনকি তাঁদের কোনও সাড়াশব্দও পাওয়া যায়নি। সেই আবহে শনিবার রাজ্যের মন্ত্রী জুপাল্লি কৃষ্ণা রাও দাবি করেছেন, তাঁদের মধ্যে চার জনের অবস্থান জানা গিয়েছে। কিন্তু কী অবস্থায় তাঁরা রয়েছেন, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মন্ত্রী। তবে আশা ছাড়ছেন না উদ্ধারকারীরা।

জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গের ভিতরে জল এবং কাদা ভরে গিয়েছে। ফলে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। উদ্ধারকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুড়ঙ্গের শেষ ৪০-৪৫ মিটার জল, কাদায় ভরে রয়েছে। সেই জল, কাদা ঠেলে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোই বড় চ্যালেঞ্জ। পাম্প চালিয়ে জল বার করা হলেও আবার জলে ভরে যাচ্ছে সুড়ঙ্গ। একই সঙ্গে চলছে কাদামাটি পরিষ্কার করার কাজ। পুলিশ সুপার বৈভব গায়কোয়াড় জানান, শনিবার সকালে উদ্ধারকারী একটি দল সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রবেশ করেছে। জল অপসারণ এবং ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ একই সঙ্গে চলছে। ধ্বংসস্তূপ সরানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বোরিং যন্ত্র।

Advertisement
আরও পড়ুন