Nitish Kumar And Doctor Hijab Row

নিয়োগপত্র দেওয়ার সময় হিজাব টেনে খুলে দেন নীতীশ, কাজেই যোগ দিলেন না সেই মহিলা ডাক্তার! ডাকল ঝাড়খণ্ড

ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরফান আনসারি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নিন্দা করে জানিয়েছেন, ওই মহিলা চিকিৎসক চাইলে তাঁর রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে যোগদান করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে উনি মাসিক ৩ লক্ষ টাকা বেতন পাবেন। সরকারি কোয়ার্টারও দেওয়া হবে।’’

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:২০
Nitish Kumar

নিয়োগপত্র হাতে তুলে দিতে গিয়ে মহিলা চিকিৎসকের হিজাবে টান মারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ছবি: সংগৃহীত।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যে মহিলা চিকিৎসকের হিজাব খুলে দিয়েছিলেন, তিনি কাজে যোগ দেননি। শনিবারই ছিল চাকরিতে যোগদানের শেষ দিন। কিন্তু ওই মহিলা চিকিৎসক যাননি। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ড সরকার থেকে ওই মহিলা চিকিৎসককে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মোটা অঙ্কের মাসিক বেতন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

Advertisement

গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে বিতর্কের কেন্দ্রে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিন তাঁর হাত থেকে চাকরির নিয়োগপত্র নিতে এক মহিলা চিকিৎসক মঞ্চে উঠেছিলেন। কিন্তু তিনি হিজাব পরে আছেন দেখে বিরক্ত হন নীতীশ। ‘এটা কী’ বলে টান মেরে খুলে দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ওই আচরণ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে যায়। পক্ষে-বিপক্ষে মতামত চলছে। এর মধ্যে জানা গেল, যে চিকিৎসকের সঙ্গে নীতীশ ওই আচরণ করেছিলেন, তিনি কাজে যোগই দেননি। জানা যাচ্ছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পটনা সদরের সবলপুর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে (সিএইচসি) তাঁর রিপোর্ট করার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁর দেখা মেলেনি। সেখানকার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘এ বার যদি স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে যোগদানের তারিখ বাড়ানো হয়, তখন আবার নোটিস জারি করা যেতে পারে।’’ কিন্তু ওই মহিলা চিকিৎসক কোনও প্রতিক্রিয়াই দেননি।

হিজাব বিতর্কে ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরফান আনসারি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর নিন্দা করে জানিয়েছেন, ওই মহিলা চিকিৎসক চাইলে তাঁর রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে যোগদান করতে পারেন। ইরফান বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে উনি মাসিক ৩ লক্ষ টাকা বেতন পাবেন। সরকারি কোয়ার্টারও দেওয়া হবে।’’ কেন এই আহ্বান? ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জবাব, ‘‘আমি প্রথমে একজন ডাক্তার, তার পরে মন্ত্রী। ওই মহিলা ডাক্তারের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা সমগ্র চিকিৎসক মহলকে আঘাত করেছে। শুধু তা-ই নয়, গোটা দেশে ভুল বার্তা যাচ্ছে।’’

নীতীশের কাণ্ডে আরজেডি এবং কংগ্রেস কড়া সমালোচনা করেছে। তারা বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও নীতীশকে দুষেছেন। অন্য দিকে, জেডিইউ বলছে, একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে নীতীশকে দুষছেন সকলে। তাঁর গোটা রাজনৈতিক জীবনে নজর দিলেই দেখা যাবে, সংখ্যালঘু উন্নয়নে তিনি কী কী করেছেন। তিনি কারও ধর্মকে অসম্মান করবেন, এটা হতেই পারে না। নীতীশের দলের দাবি, সে দিন মুখ্যমন্ত্রী যা করেছেন সেটা পিতৃস্নেহের বশে করেছেন। ওই মহিলা চিকিৎসক তাঁর মেয়ের বয়সি। তাঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার সময় স্নেহের বশেই হিজাব খুলে দিয়েছিলেন। তা নিয়ে অহেতুক জলঘোলা হচ্ছে। যদিও বিতর্ক চলছেই।

Advertisement
আরও পড়ুন