TMC MP Cigarette Row

ই-সিগারেট নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সংসদ চত্বরে ধূমপান আর এক তৃণমূল সাংসদের! ঘিরে ধরল বিজেপি, জবাবে দূষণ-তোপ

বিতর্কের সূত্রপাত বৃহস্পতিবার লোকসভায়। অধিবেশন চলাকালীন বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর উঠে দাঁড়িয়ে স্পিকারকে জানান, এক তৃণমূলের সাংসদ গত কয়েক দিন ধরে অবাধে ই-সিগারেট টানছেন। এর পর সংসদ চত্বরে প্রকাশ্যে সিগারেট হাতে দেখা যায় আর এক সাংসদকে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:২৯
সংসদ চত্বরে ধূমপানের সময় বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের এক সাংসদ।

সংসদ চত্বরে ধূমপানের সময় বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের এক সাংসদ। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।

সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে ধূমপানের সময় তৃণমূল সাংসদকে ঘিরে ধরল বিজেপি। জনগণের স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গ টেনে তাঁর এই আচরণের প্রতিবাদ করেছেন বিজেপি সাংসদেরা। জবাবে দিল্লির দূষণের কথা বিজেপিকে মনে করিয়ে দিয়েছেন ওই তৃণমূল সাংসদ। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদ চত্বরে বেশ কিছু ক্ষণ হট্টগোল হয়। শুক্রবার বিজেপির অভিযোগের জবাব দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।

Advertisement

বিতর্কের সূত্রপাত বৃহস্পতিবার লোকসভায়। অধিবেশন চলাকালীন হিমাচল প্রদেশের সাংসদ তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর উঠে দাঁড়িয়ে স্পিকারের কাছে নালিশ করেন। জানান, এক তৃণমূলের সাংসদ গত কয়েক দিন ধরে অবাধে সংসদের ভিতরে বসে ই-সিগারেট টানছেন। ই-সিগারেট ২০১৯ সাল থেকে দেশে নিষিদ্ধ। তার পরেও কী করে তা সেবনের ছাড়পত্র পাচ্ছেন ওই সাংসদ, প্রশ্ন তোলেন অনুরাগ। অভিযোগ পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্পিকার ওম বিড়লাও। জানিয়েছিলেন, এই ধরনের অভিযোগ ভবিষ্যতে পেলে পদক্ষেপ করবেন। তবে অনুরাগ বা স্পিকার কেউ সংশ্লিষ্ট তৃণমূল সাংসদের নাম উল্লেখ করেনি।

সংসদ চত্বরে সিগারেট হাতে সাংসদ সৌগত রায়। পাশে বিজেপি সাংসদেরা।

সংসদ চত্বরে সিগারেট হাতে সাংসদ সৌগত রায়। পাশে বিজেপি সাংসদেরা। ছবি: সংগৃহীত।

তবে ওই দিনই সংসদের বাইরে দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ধূমপানের অভিযোগ ওঠে। সরাসরি তাঁর সামনে গিয়ে ধূমপানে আপত্তি জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াত, গিরিরাজ সিংহেরা। তাঁদের সঙ্গে বিজেপির আরও কয়েক জন সাংসদ ছিলেন। সৌগত নিজের সপক্ষে যুক্তি দেন এবং বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁর দাবি ছিল, সংসদের কক্ষের বাইরে ধূমপানে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।

বৃহস্পতিবারের এই গোলযোগের ছবি এবং ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দেখা যায়, এক হাতে সিগারেট লুকিয়ে বিজেপির মন্ত্রীদের সঙ্গে তর্ক করছেন সৌগত। এ বিষয়ে শুক্রবার তাঁকে প্রশ্ন করা হলে সৌগত দিল্লির দূষণের প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, ‘‘সংসদের ভিতরে ধূমপান নিষিদ্ধ। কিন্তু বাইরে খোলা জায়গায় ধূমপান করায় কোনও বাধা নেই। বিজেপি সরকারের আমলে দিল্লির দূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। এই ধরনের অভিযোগ তোলার আগে ওঁদের সেই দূষণে মনোনিবেশ করা উচিত। একটা সিগারেট পরিস্থিতি বদলাবে না।’’ অর্থাৎ, দিল্লির দূষণে তাঁর একটি সিগারেটের ধোঁয়া কোনও প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ।

সংসদের ভিতরে এক তৃণমূল সাংসদের ই-সিগারেট টানা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সৌগত। বিজেপির সেই অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে ছিল কি না, স্পষ্ট নয়। তবে বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলেছে। ‌অনুরাগের প্রশ্ন এবং স্পিকারের অসন্তোষের ভিডিয়ো প্রকাশ করে বিজেপি ধূমপায়ী সাংসদের নাম প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই সাংসদকে এর আগে দলের অনেকে ই-সিগারেট টানতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি কথা শোনেননি। সেই নিয়ে অস্বস্তির মাঝে বিজেপির বিরুদ্ধে দূষণের তোপ দাগলেন সৌগত।

Advertisement
আরও পড়ুন