Telangana Tunnel Collapse

তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গে ১২ দিন বন্দি! জীবিত না মৃত? শ্রমিকদের খোঁজে এ বার পুলিশের বিশেষ কুকুর

ইতিমধ্যে মৃতদেহ অনুসন্ধানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই কুকুর নিয়ে তেলঙ্গানার উদ্দেশে রওনাও হয়ে গিয়েছেন পুলিশকর্মীরা। রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের যৌথ অনুরোধেই এই বিশেষ পুলিশ কুকুর পাঠাচ্ছে কেরল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৫ ১২:১১
তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ।

তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।

ধসে পড়া অন্ধকার সুড়ঙ্গে কেটে গিয়েছে ১২ দিন। ভিতরে আটকে রয়েছেন আট জন শ্রমিক এবং ইঞ্জিনিয়ার। জীবিত না মৃত, কী অবস্থায় তাঁরা রয়েছেন, জানা যাচ্ছে না তা-ও। আশার আলোও প্রায় নিভে এসেছে। সেই আবহেই এ বার উদ্ধারকাজে যোগ দিল কেরল পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, যারা সহজেই মানবদেহ বা দেহাংশ খুঁজে বের করতে পারে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে কেরল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে মৃতদেহ অনুসন্ধানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই কুকুর নিয়ে তেলঙ্গানার উদ্দেশে রওনাও হয়ে গিয়েছেন পুলিশকর্মীরা। রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের যৌথ অনুরোধেই এই বিশেষ পুলিশ কুকুর পাঠাচ্ছে কেরল। অন্য দিকে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক কর্তা প্রসন্ন কুমার গত সোমবার জানিয়েছেন, আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর জন্য ১২টি সংস্থা দিনরাত কাজ করছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার দেশের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞকে পাঠিয়েছে। কিন্তু হাজার চেষ্টার পরেও এখনও পর্যন্ত শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। সুড়ঙ্গের মধ্যে জমে থাকা জল এবং কাদার স্তরের কারণেই শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো যাচ্ছে না।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তেলঙ্গানার ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ শ্রীশৈলম সুড়ঙ্গের একাংশ আচমকাই ধসে পড়ে। সাড়ে ১৩ কিলোমিটার ভিতরে আটকে পড়েন আট শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধারের জন্য প্রায় ৫০০ জন উদ্ধারকারী নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। এই ১২ দিন ধরে নানা রকম ভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও শ্রমিকদের অবস্থান জানা সম্ভব হয়নি। এমনকি তাঁদের কোনও সাড়াশব্দও পাওয়া যায়নি। সেই আবহে শনিবার রাজ্যের মন্ত্রী জুপাল্লিকৃষ্ণ রাও দাবি করেছিলেন, বিশেষ রাডারের সাহায্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে চার জনের অবস্থান জানা গিয়েছে। কিন্তু কী অবস্থায় তাঁরা রয়েছেন, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মন্ত্রী। এ দিকে, সময় যত গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে উদ্বেগ। তবে আশা ছাড়ছেন না উদ্ধারকারীরা।

Advertisement
আরও পড়ুন