Infiltration in India

অনুপ্রবেশ তথ্য দিতে নারাজ শাহের মন্ত্রকই

ডিসেম্বরে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দু’সপ্তাহ আগেই নিয়ম অনুযায়ী তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে দু’টি প্রশ্ন জমা দেন।

অগ্নি রায়
শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৩০
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আজ অসমের পর মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর বার্তা দেবেন বলেই জানাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু সংসদের সদ্যসমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে দেশে অনুপ্রবেশকারী এবং অবৈধ অভিবাসী সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে রাজি হল না কেন্দ্রই। কত জন অনুপ্রবেশকারী/অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, সেই পরিসংখ্যান দিতেও অস্বীকার করেছে শাহের মন্ত্রকই। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই সব ‘গোপন বিষয়ে’ কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনা যায় না।

ডিসেম্বরে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দু’সপ্তাহ আগেই নিয়ম অনুযায়ী তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে দু’টি প্রশ্ন জমা দেন। তাঁর প্রথম প্রশ্ন ছিল, কত জন অনুপ্রবেশকারী/অবৈধ অভিবাসী গত ১০ বছরে ভারতে গ্রেফতার হয়েছেন, তার বছর ও রাজ‍্যভিত্তিক সম্পূর্ণ বিবরণ দেওয়া হোক। দ্বিতীয় প্রশ্ন, তাঁদের মধ্যে কত জন অনুপ্রবেশকারী/অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তার বছর ও দেশভিত্তিক বিবরণ।

গোটা অধিবেশনে এই প্রশ্নদ্বয়ের কোনও উত্তর না আসায় রাজ‍্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে চিঠি পাঠান সুখেন্দুশেখর। উত্তরে বলা হয়, অধিবেশন শেষ হওয়ার সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরে এ বিষয়ে জানানো হবে। এরপর গত ২৫ ডিসেম্বর রাজ‍্যসভার পোর্টালে দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, প্রশ্ন দু’টি ‘প্রত‍্যাখ্যান’ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, রাজ‍্যসভার আইন অনুযায়ী ‘বিদেশি কোনও বন্ধু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে’ কোনও উল্লেখ ও ‘গোপন বিষয়’ নিয়ে তথ্য চাওয়া যায় না।

ক্ষুব্ধ সুখেন্দুশেখর আজ বলেন, “অত্যন্ত সহজ প্রশ্ন করেছিলাম আইন মেনেই। ১৪ বছর রাজ‍্যসভার রুলস্ কমিটির সদস্য আমি। নিয়মকানুন তো জানি। আমার প্রশ্নে কোনও বন্ধু রাষ্ট্রের উল্লেখ ছিল না, অসৌজন্য প্রকাশ তো দূরের কথা। আর ধৃত অনুপ্রবেশকারী/অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা জানানো কোনও গোপনীয়তার সংজ্ঞার আওতায় পড়ে না।” তাঁর বক্তব্য, “সংবাদমাধ্যমে মাঝে মধ্যেই দেখা যায় বিভিন্ন রাজ‍্যে অনুপ্রবেশকারী/অবৈধ অভিবাসী ধরা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির নেতারা প্রকাশ্যে নিয়মিত বলে চলেছেন, কোনও কোনও রাজ্যে এত অনুপ্রবেশকারী না কি ঢুকেছে যে সে সব রাজ্যের জনবিন‍্যাসই পাল্টে গেছে! তা হলে সে সব রাজ্যের অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা কেন্দ্র সংসদে জানাতে পারছে না কেন?”

তৃণমূল শিবিরের প্রশ্ন, অনুপ্রবেশ নিয়ে বিজেপি রাজনীতি শুরু করার পরই কি প্রকৃত তথ্য চাপতে চাইছে কেন্দ্র? কারণ, ২০১৮ সালের বাদল অধিবেশনে এক প্রশ্নের উত্তরে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৭০৫৬ জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠানোর কথা জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বলা হয়েছে ২০২৫ সালে ২,২০০জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন