Unnao Rape Case

উন্নাওকাণ্ড: কুলদীপের জামিন চ্যালেঞ্জ করে সিবিআইয়ের করা মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ

উন্নাওয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় কুলদীপকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা শুনিয়েছিল দিল্লির আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কুলদীপ। সেই মামলায় গত মঙ্গলবার বিজেপির বহিষ্কৃত নেতার জামিন মঞ্জুর করে আদালত।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:০৮
কুলদীপ সিংহ সেঙ্গার।

কুলদীপ সিংহ সেঙ্গার। — ফাইল চিত্র।

উন্নাওয়ের ধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়া বিজেপির বহিষ্কৃত বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারের জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে শুক্রবার মামলা করেছিল সিবিআই। সেই মামলার শুনানি কবে জানা গেল শনিবার। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির অবকাশকালীন বেঞ্চে সিবিআইয়ের করা ওই মামলার শুনানি হবে।

Advertisement

উন্নাওয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় কুলদীপকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা শুনিয়েছিল দিল্লির আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কুলদীপ। সেই মামলায় গত মঙ্গলবার বিজেপির বহিষ্কৃত নেতার জামিন মঞ্জুর করে আদালত। হাই কোর্ট ১৫ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে কুলদীপের জামিন মঞ্জুর করে। দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

শনিবার সুপ্রিম কোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সিবিআইয়ের করা মামলার শুনানির দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ছাড়াও বিশেষ বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী, বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ। আগামী ২৯ ডিসেম্বর, সোমবার সকাল ১১টার সময় এই মামলার শুনানি হবে।

২০১৭ সালে বাঙ্গেরমউ কেন্দ্রের চার বারের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার ও তাঁর সঙ্গী শশীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন ধর্ষিতা। তখন তিনি নাবালিকা ছিলেন। সেই মামলায় ২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল কুলদীপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কিছু দিনের মধ্যেই বিজেপি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। পুলিশের চার্জশিটের ভিত্তিতে পকসো আইনে ১২০বি (ষড়যন্ত্র), ৩৬৩ (অপহরণ) ৩৬৬ (অপহরণ ও বিবাহের জন্য বাধ্য করা) ৩৭৬ (ধর্ষণ)-সহ একাধিক ধারায় চার্জ গঠন করে আদালত। সেই মামলায় কুলদীপকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনানো হয়।

গত মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্ট কুলদীপের যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা মকুব করে দেয়। তবে দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশের পর শোরগোল পড়ে দেশ জুড়ে। দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন নির্যাতিতা এবং তাঁর মা। সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েক জন মানবাধিকার কর্মী ও শুভানুধ্যায়ী। নির্যাতিতার দাবি, ‘‘কুলদীপ মুক্তি পাওয়ায় আমরা ভীত। উনি আমার বাবাকে খুন করিয়েছেন।’’ কুলদীপ মুক্তি পেলে প্রাণনাশেরও আশঙ্কাপ্রকাশ করেন নির্যাতিতা। তিনিও জানান, হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। তাঁর কথায়, ‘‘বিচারব্যবস্থার উপর ভরসা আছে। সুপ্রিম কোর্টের উপর বিশ্বাস রয়েছে।’’ তার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই মামলা করে।

Advertisement
আরও পড়ুন