Cyclone Montha

মোন্থার কোপে বুধেও অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা তিন রাজ্যে! ধস নামল ওড়িশায়, অন্ধ্রে মৃত ১, নষ্ট দেড় লক্ষ হেক্টর জমির ফসল

মোন্থার তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অন্ধ্র ও ওড়িশা জুড়ে। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে সে রাজ্যে প্রায় এক লক্ষ ৭৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে কোনাসিমা জেলার মাকানাগুড়েম গ্রামে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ১০:২৬
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি তিন রাজ্যে।

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি তিন রাজ্যে। ছবি: পিটিআই।

শক্তি হারিয়ে উত্তর-পশ্চিমে এগোল মোন্থা। মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মোন্থা। বুধবার ভোরে শক্তি হারিয়ে তা আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি আরও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা।

Advertisement

তবে মোন্থার তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অন্ধ্র ও ওড়িশা জুড়ে। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে সে রাজ্যে প্রায় এক লক্ষ ৭৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। দক্ষিণ-মধ্য রেলে বাতিল হয়েছে অন্তত ১২২টি ট্রেন। বহু ট্রেনের সময়সূচিতেও পরিবর্তন করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ঝড়ে গাছ পড়ে অন্ধ্রের কোনাসিমা জেলার মাকানাগুড়েম গ্রামে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। এ পর্যন্ত ৭৬ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গড়া হয়েছে ২১৯টি স্বাস্থ্যশিবির।

মোন্থার প্রভাব পড়েছে ওড়িশাতেও। রাতভর ভারী বৃষ্টিতে দক্ষিণ ওড়িশার বেশ কিছু জায়গায় ধস নেমেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বেশি অনুভূত হয়েছে মালাকানগিরি, কোরাপুট, রায়গড়, গজপতি, গঞ্জাম, কান্ধামাল, কালাহান্ডি এবং নবরংপুর জেলায়। তবে সব মিলিয়ে ওড়িশার অন্তত ১৫টি জেলায় কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একাধিক জায়গায় ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা। কোথাও উপড়ে গিয়েছে গাছ, ভেঙেছে ঘরবাড়ি। গজপতি জেলার মোহানায় একটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে এক জন গুরুতর জখম হয়েছেন। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় রাজ্যে ২০০০টিরও বেশি আশ্রয়শিবির তৈরি করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (ওডিআরএএফ) এবং দমকল মিলিয়ে মোট ১৫৩টি উদ্ধারকারী দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। ন’টি জেলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল কলেজ।

বুধবারও তেলঙ্গানা, অন্ধ্র ও ওড়িশায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। অন্ধ্রের প্রকাশম, নেল্লোর, এল্লুরু, তিরুপতি, পূর্ব গোদাবরী, গুন্টুর এবং কৃষ্ণা জেলায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। কয়েকটি জেলায় দুর্যোগের কমলা সতর্কতাও জারি হয়েছে। পুরী-সহ ওড়িশার একাধিক জেলাতেও জারি হয়েছে সতর্কতা। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ছত্তীসগঢ়, কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গেও। ঝড় না হলেও পশ্চিমবঙ্গে মোন্থার প্রভাব পড়েছে। ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতায়। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে।

Advertisement
আরও পড়ুন