Operation Sindoor

‘কোনও ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে দিইনি’! ২৬ মৃত্যু মেনেও দাবি পাকিস্তানের

পাক সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরির দাবি, কোনও ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে মঙ্গলবার রাতে পাক আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে দেননি তাঁরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২৫ ১৫:০৪
DG ISPR of Pakistan Army Lt General Ahmed Sharif Chaudhry says, no Indian aircraft allowed to enter Pakistan, none of ours went into its airspace

পাক সেনার আইএসপিআর-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের ছ’টি জায়গায় ভারতের হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪৬ জন। বুধবার দুপুরে পাক সেনার তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু পাক সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর)-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরির দাবি, কোনও ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে পাক আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে দেননি তাঁরা।

Advertisement

বুধবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে চৌধরি বলেন, ‘‘কোনও ভারতীয় বিমানকে পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি এবং পাকিস্তানের কোনও বিমান ওদের (ভারতের) আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি।’’ চৌধরির দাবি,ভারতের হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বহাওয়ালপুরের আহমেদপুর ইস্ট শহরে। সেখানে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’টি তিন বছরের শিশু, সাত জন নারী ও চার জন পুরুষ। এ ছাড়া ৩৭ জন আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং ন’জন নারী।

জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ভারতীয় সেনা আগ্রাসনের চেষ্টা চালিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন পাক সেনাকর্তা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমাদের সেনা ভারতীয় আগ্রাসনের সমুচিত জবাব দিয়েছে।’’ এলওসিতে কয়েকটি ‘ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয় সেনাচৌকি ও সেনাশিবিরের’ ছবিও সাংবাদিক বৈঠকে তুলে দাবির সত্যতা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধরি। কিন্তু আকাশসীমা লঙ্ঘন নিয়ে তাঁর দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিনের মাথায় পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পঞ্জাব প্রদেশের ন’টি জঙ্গিডেরায় ভারতীয় বায়ুসেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ কী কী অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি নয়াদিল্লি। তবে ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ‘আকাশ থেকে ভূমি’ ক্ষেপণাস্ত্র ‘স্ক্যাল্প’ (স্টর্ম শ্যাডো) এবং ‘হ্যামার’ (হাইলি অ্যাজাইল মডুলার মিউনিশন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ) ব্যবহার করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে নিশ্চিত ভাবেই রাফাল এবং সুখোই যুদ্ধবিমান যোগ দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ। ‘স্ক্যাল্প’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৫০০ কিলোমিটারের বেশি। ‘হ্যামারে’র পাল্লা ৭০ কিলোমিটার। রাফাল, সুখোই-৩০-এর পাশাপাশি ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানও এটি ব্যবহার করতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন